
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে জামালপুর-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের মনোনয়ন স্থগিত হওয়ায় আসনটি প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পুরো উদ্যমে শুরু করা নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ ঘোষণাসহ ধানের শীষ প্রতীকের সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে পাল্টে গেছে এ আসনের ভোটের চিত্র। গনফোরাম, ন্যাপ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী থাকলেও মাঠে নেই তারা।
মাঠ খালি থাকলেও বসে নেই আওয়ামীলীগের মনোনীয় প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি। তীব্র শীতের মধ্যেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এক রায়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া মনোনয়ন বৈধতার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন। ফলে বিএনপি’র মনোনীয় প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবার আর নির্বাচন করতে পারছেন না। এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত ছাড়াও এ আসনে সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম ও মিল্লাতের ছেলে শাহাদাৎ বিন জামান ধানের শীষ’র চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রিয় নেতারা সাবেক এই এমপি মিল্লাতকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে বাকি দুজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হিসেবে গণ্য করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। কিন্তু গত মঙ্গলবারের হাইকোর্টের স্থগিত আদেশ দেওয়ার ফলে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীশূন্য আসন হিসেবে গণ্য হচ্ছে এ আসনটি।
এই আসনে বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত নির্বাচন করতে না পারায় এ আসনের নেতাকর্মীরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন।
এ আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হওয়া আরো দুই প্রার্থী ছিলেন। এখন দলীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে ওই দুজনের মধ্যে একজনকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা যায় কি না! এরকম চিন্তাভাবনা সকল নেতাকর্মীর মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।