সেবা ডেস্ক:
নদীপথে বাংলাদেশ দেখার দুঃসাহসিক এক অভিযান শুরু করেও শেষ করতে পারলেন না ইংল্যান্ডের সাবেক স্কুল শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর। আট দিনের মাথায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভাসানোর পর ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে না করতেই সহযাত্রীর নৌকা ফেটে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মন খারাপ করে গাইবান্ধা শহরে ফিরতে হয় তাদের।
গত ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে নীলফামারীর তিস্তা নদীর ডালিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন ইংল্যান্ডের সাবেক স্কুল শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর ও তার বাংলাদেশী বন্ধু মাহফুজ রাসেল। গত মঙ্গলবার তারা প্রায় দু’শ কিলোমিটার এলাকা পাডি দিয়ে তিস্তা নদী শেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবেশ করেন। ব্রহ্মপুত্র নদ ধরে গাইবান্ধা সদরের কামারজানি বন্দরে এসে পৌঁছান তারা।
এরপর গাইবান্ধা শহরে বিশ্রামের পর আজ ২৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে আবারো ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভাসিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ৫ কিলোমিটার পথ যেতে না যেতেই এলিসের সহযাত্রী রাসেলের প্লাষ্টিকের নৌকাটি ফেটে গেলে তাদের নৌভ্রমণ থেমে যায়।
ইংল্যান্ডের রাইট রবিনসন কলেজ, ম্যানচেষ্টারের সাবেক শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর বলেন, বন্ধু রাসেলের নৌকাটি ফুটো হওয়ার পর মানসিকভাবে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি কেননা এই ভ্রমনটি ছিল অনেক বেশী উপভোগ্য। এটি সবচেয়ে মজার এক ভ্রমণ ছিল। নদী আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নদীপাড়ে মানুষগুলোর আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। তিনি বলেন, তিস্তা নদী শেষ করে ব্রহ্মপুত্রে পরতে তাদের ৫ দিন সময় লেগেছে। তিস্তা নদীটি এত বেশি আঁকাবাকা যে নিশ্চিত করে দূরত্ব বলা মুশকিল।
প্রায় ১৫০-২০০ কি.মি. নদীপথ পাড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ঢুকেছি আমরা। আবার ব্রহ্মপুত্র নদীতে নামার আগে গাইবান্ধা শহরে এক দিনের জন্য বিশ্রাম নিয়েছি। ব্রহ্মপুত্র বিস্তৃত নদী এবং অনেক চ্যানেল দ্বারা গঠিত, বছরের এই সময়ে পানি কম বলে চ্যানেল আরো বেশি। এলিসের সহযাত্রী ও তার বাংলাদেশী বন্ধু রাসেল বলেন, আমরা ব্রহ্মপুত্র ধরে দক্ষিণের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল নদীপথ ধরে কুয়াকাটা যাওয়ার।
এলিস নৌপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তিস্তার স্বচ্ছ পরিষ্কার জলের ওপর দিয়ে নৌকা চালানো আর স্থানীয় পরিবারের সাথে থাকা এবং বর্ষাকালের বন্যা কীভাবে মোকাবেলা করে তা জানতে পেরেছি। চাঁদ আর তারায় ভরা খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্পিং ছিল বেশ মজার আর নদীতে ডলফিনের খেলা দেখার আনন্দ বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
এলিস বলেন, শুরু থেকেই নৌকা নিম্নমানের হওয়ায় রাসেলকে পাগলের মতো কষ্ট করে ডিঙ্গি চালাতে হয়েছে। নদীতে স্রোত খুব সামান্য থাকায় আমাদেরকে ঠেলেঠুলে এগিয়ে নিতে হয়েছে অনেক জায়গাতেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাসেল ও তার বন্ধু এলিস গাইবান্ধা শহরের একটি গেষ্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এলিস নৌপথে ভ্রমণের জন্য আবারো নদীতে একাই নেমে পড়বেন কিনা তা তিনি ভাবছেন।
নদীপথে বাংলাদেশ দেখার দুঃসাহসিক এক অভিযান শুরু করেও শেষ করতে পারলেন না ইংল্যান্ডের সাবেক স্কুল শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর। আট দিনের মাথায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভাসানোর পর ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে না করতেই সহযাত্রীর নৌকা ফেটে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মন খারাপ করে গাইবান্ধা শহরে ফিরতে হয় তাদের।
গত ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে নীলফামারীর তিস্তা নদীর ডালিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন ইংল্যান্ডের সাবেক স্কুল শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর ও তার বাংলাদেশী বন্ধু মাহফুজ রাসেল। গত মঙ্গলবার তারা প্রায় দু’শ কিলোমিটার এলাকা পাডি দিয়ে তিস্তা নদী শেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবেশ করেন। ব্রহ্মপুত্র নদ ধরে গাইবান্ধা সদরের কামারজানি বন্দরে এসে পৌঁছান তারা।
এরপর গাইবান্ধা শহরে বিশ্রামের পর আজ ২৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে আবারো ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভাসিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ৫ কিলোমিটার পথ যেতে না যেতেই এলিসের সহযাত্রী রাসেলের প্লাষ্টিকের নৌকাটি ফেটে গেলে তাদের নৌভ্রমণ থেমে যায়।
ইংল্যান্ডের রাইট রবিনসন কলেজ, ম্যানচেষ্টারের সাবেক শিক্ষক এলিস নেন্সি টেইলর বলেন, বন্ধু রাসেলের নৌকাটি ফুটো হওয়ার পর মানসিকভাবে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি কেননা এই ভ্রমনটি ছিল অনেক বেশী উপভোগ্য। এটি সবচেয়ে মজার এক ভ্রমণ ছিল। নদী আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নদীপাড়ে মানুষগুলোর আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। তিনি বলেন, তিস্তা নদী শেষ করে ব্রহ্মপুত্রে পরতে তাদের ৫ দিন সময় লেগেছে। তিস্তা নদীটি এত বেশি আঁকাবাকা যে নিশ্চিত করে দূরত্ব বলা মুশকিল।
প্রায় ১৫০-২০০ কি.মি. নদীপথ পাড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ঢুকেছি আমরা। আবার ব্রহ্মপুত্র নদীতে নামার আগে গাইবান্ধা শহরে এক দিনের জন্য বিশ্রাম নিয়েছি। ব্রহ্মপুত্র বিস্তৃত নদী এবং অনেক চ্যানেল দ্বারা গঠিত, বছরের এই সময়ে পানি কম বলে চ্যানেল আরো বেশি। এলিসের সহযাত্রী ও তার বাংলাদেশী বন্ধু রাসেল বলেন, আমরা ব্রহ্মপুত্র ধরে দক্ষিণের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল নদীপথ ধরে কুয়াকাটা যাওয়ার।
এলিস নৌপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তিস্তার স্বচ্ছ পরিষ্কার জলের ওপর দিয়ে নৌকা চালানো আর স্থানীয় পরিবারের সাথে থাকা এবং বর্ষাকালের বন্যা কীভাবে মোকাবেলা করে তা জানতে পেরেছি। চাঁদ আর তারায় ভরা খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্পিং ছিল বেশ মজার আর নদীতে ডলফিনের খেলা দেখার আনন্দ বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
এলিস বলেন, শুরু থেকেই নৌকা নিম্নমানের হওয়ায় রাসেলকে পাগলের মতো কষ্ট করে ডিঙ্গি চালাতে হয়েছে। নদীতে স্রোত খুব সামান্য থাকায় আমাদেরকে ঠেলেঠুলে এগিয়ে নিতে হয়েছে অনেক জায়গাতেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাসেল ও তার বন্ধু এলিস গাইবান্ধা শহরের একটি গেষ্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এলিস নৌপথে ভ্রমণের জন্য আবারো নদীতে একাই নেমে পড়বেন কিনা তা তিনি ভাবছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।