রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য হাতুড়ে পশু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গত এক সপ্তাহে ৫ গৃহকর্তার ৮টি গরু মারা গেছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নিকট চিকিৎসা না পেয়ে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয় রোগাক্রান্ত গরুর মালিকেরা।
কথিত পশু ডাক্তার খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পুশ করায় গরু গুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই গ্রামে আরো শতাধিক গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের শিমুলকান্দি গ্রামে প্রায় এক সপ্তাহ আগে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এ রোগ ধীরে ধীরে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে বিস্তার লাভ করতে থাকে। এক সপ্তাহের মাঝে প্রায় ১৫০টি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় গরুর মালিকেরা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নিকট চিকিৎসা না পেয়ে শিমুলকান্দি গ্রামে সাদিয়া ফার্মেসির কথিত ডাক্তার শহিদুল ইসলামের শরনাপন্ন হয়।
কথিত ডাক্তার খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে ভুলক্রমে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিষেধক পুশ করার পরই গরু মারা যায়। একই ধরনের ভুল চিকিৎসায় এক সপ্তাহে ৮টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমুলকান্দি গ্রামের মনিরুলের ৩টি, শুকুর আলীর ২টি ও গোলাম মোস্তফা, জেছারত আলী ও জাহাঙ্গীর আলমের ১টি করে গরু মারা গেছে।
এছাড়া শিমুলকান্দি গ্রামে গরুর খুরা রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অফিজাল হোসেনের ৪টি, এনছাব আলীর ৮টি, মাফিদুলের ২টি, মোজাহার আলীর ২টি ও আব্দুল মতিন, জহুরুল ইসলাম জুয়েল রানার ১টি করে গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার জন্য উপজেলার সরকারি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্ত সেখানে কোন চিকিৎসা বা সহযোগীতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে গ্রামের শহিদুল ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি গরুর শরীরে ইনজেকশন দেওয়ার পর গরু গুলো মারা যায়। তবে গরু মৃত্যুর সংবাদ জেনে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা গ্রামে এসেছিলেন। তাঁর ধারনা ভুল চিকিৎসায় গরু গুলোর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে কথিত ডাক্তার শহিদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পাশ করার পর প্রশিক্ষন নিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে এলাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা করছি। এ ধরনের ঘটনা কোন দিন ঘটেনি। গরু গুলোকে সঠিক চিকিৎসাই দিয়েছি। তবে ভ্যাকসিনে কোন সমস্যার কারনে গরু গুলো মারা যেতে পারে।
ধুনট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দীকি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গরু গুলোর মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই গ্রামে খুরা রোগে আক্রান্ত গরু গুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারনে গরু গুলোর মৃত্যুর হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য হাতুড়ে পশু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গত এক সপ্তাহে ৫ গৃহকর্তার ৮টি গরু মারা গেছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নিকট চিকিৎসা না পেয়ে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয় রোগাক্রান্ত গরুর মালিকেরা।
কথিত পশু ডাক্তার খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পুশ করায় গরু গুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই গ্রামে আরো শতাধিক গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের শিমুলকান্দি গ্রামে প্রায় এক সপ্তাহ আগে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এ রোগ ধীরে ধীরে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে বিস্তার লাভ করতে থাকে। এক সপ্তাহের মাঝে প্রায় ১৫০টি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় গরুর মালিকেরা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নিকট চিকিৎসা না পেয়ে শিমুলকান্দি গ্রামে সাদিয়া ফার্মেসির কথিত ডাক্তার শহিদুল ইসলামের শরনাপন্ন হয়।
কথিত ডাক্তার খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে ভুলক্রমে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিষেধক পুশ করার পরই গরু মারা যায়। একই ধরনের ভুল চিকিৎসায় এক সপ্তাহে ৮টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমুলকান্দি গ্রামের মনিরুলের ৩টি, শুকুর আলীর ২টি ও গোলাম মোস্তফা, জেছারত আলী ও জাহাঙ্গীর আলমের ১টি করে গরু মারা গেছে।
এছাড়া শিমুলকান্দি গ্রামে গরুর খুরা রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অফিজাল হোসেনের ৪টি, এনছাব আলীর ৮টি, মাফিদুলের ২টি, মোজাহার আলীর ২টি ও আব্দুল মতিন, জহুরুল ইসলাম জুয়েল রানার ১টি করে গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার জন্য উপজেলার সরকারি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্ত সেখানে কোন চিকিৎসা বা সহযোগীতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে গ্রামের শহিদুল ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি গরুর শরীরে ইনজেকশন দেওয়ার পর গরু গুলো মারা যায়। তবে গরু মৃত্যুর সংবাদ জেনে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা গ্রামে এসেছিলেন। তাঁর ধারনা ভুল চিকিৎসায় গরু গুলোর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে কথিত ডাক্তার শহিদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পাশ করার পর প্রশিক্ষন নিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে এলাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা করছি। এ ধরনের ঘটনা কোন দিন ঘটেনি। গরু গুলোকে সঠিক চিকিৎসাই দিয়েছি। তবে ভ্যাকসিনে কোন সমস্যার কারনে গরু গুলো মারা যেতে পারে।
ধুনট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দীকি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গরু গুলোর মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই গ্রামে খুরা রোগে আক্রান্ত গরু গুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারনে গরু গুলোর মৃত্যুর হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।