সেবা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশের রাজনীতির ‘উজ্জ্বলতম নক্ষত্র’ তিনি। সততা, নম্রতা, সরলতা তাকে দেশের রাজনীতিতে একটি মহীরুহে পরিণত করেছে। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিলো। এমন চিত্র বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে বিরলই বটে। তিনি সমধিক পরিচিত সৈয়দ আশরাফ হিসেবে।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মেছিলেন তিনি। চিরতরে চোঁখ বুজলেন সেই জানুয়ারির তৃতীয় দিনেই। ৬৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে পাড়ি জমিয়েছেন এই কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিষণ্নতায় ভরে গেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখ।
সৈয়দ আশরাফের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়াও, সৈয়দ নজরুল ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক। সুবিশাল পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুবিধাজনক ও দায়িত্বশীল অনেক পদে থেকেও অর্থবিত্ত আর বৈভবের পেছনে ছোটেননি। এই নেতার দৃঢ়তাপূর্ণ ক্যারিশমাটিক কর্মযজ্ঞে নিন্দুকেরাও মোহিত হতেন। নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দুর্নীতির উপরে ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করা নীতিবান সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আদর্শ, সততা ও মানবিক গুণাবলীর কারণেই জনপ্রিয় ছিলেন ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশেই। দলীয় রাজনীতির উপরে থাকা অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আশরাফের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-হাহাকারের চিত্র। কেউ কেউ তাঁকে অভিহিত করেছেন ‘রাজনীতির শুদ্ধপুরুষ’ হিসেবে। বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে জানিয়েছেন ‘বিদায়’।
দেশে ১/১১ এর সময় থেকে শুরু করে একটি কঠিন সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। রাজনীতির কঠিন সময়ে স্রোতের প্রতিকূলের যাত্রী ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। আপোষ, লোভ, অসততা-অনৈতিকতা থেকে বহুদূরে অবস্থান করেছেন তিনি। সৈয়দ আশরাফ ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ আশরাফকে আজ সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দেশের মাটিতে শায়িত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতির এক শ্রেষ্ঠ সন্তান। সৈয়দ আশরাফের মত কীর্তিমানদের জীবনে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। নশ্বর জীবনে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বাইরে অবিনশ্বর কর্মে সৈয়দ আশরাফরা বেঁচে থাকেন কোটি মানুষের মনে মহাকালের মহীরুহ হয়ে। এ মহিরুহের ছায়ায় বেড়ে ওঠে আগামীর মহাকাব্যিক মহীরুহরা।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মেছিলেন তিনি। চিরতরে চোঁখ বুজলেন সেই জানুয়ারির তৃতীয় দিনেই। ৬৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে পাড়ি জমিয়েছেন এই কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিষণ্নতায় ভরে গেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখ।
সৈয়দ আশরাফের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়াও, সৈয়দ নজরুল ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক। সুবিশাল পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুবিধাজনক ও দায়িত্বশীল অনেক পদে থেকেও অর্থবিত্ত আর বৈভবের পেছনে ছোটেননি। এই নেতার দৃঢ়তাপূর্ণ ক্যারিশমাটিক কর্মযজ্ঞে নিন্দুকেরাও মোহিত হতেন। নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দুর্নীতির উপরে ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করা নীতিবান সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আদর্শ, সততা ও মানবিক গুণাবলীর কারণেই জনপ্রিয় ছিলেন ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশেই। দলীয় রাজনীতির উপরে থাকা অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আশরাফের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-হাহাকারের চিত্র। কেউ কেউ তাঁকে অভিহিত করেছেন ‘রাজনীতির শুদ্ধপুরুষ’ হিসেবে। বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে জানিয়েছেন ‘বিদায়’।
দেশে ১/১১ এর সময় থেকে শুরু করে একটি কঠিন সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। রাজনীতির কঠিন সময়ে স্রোতের প্রতিকূলের যাত্রী ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। আপোষ, লোভ, অসততা-অনৈতিকতা থেকে বহুদূরে অবস্থান করেছেন তিনি। সৈয়দ আশরাফ ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ আশরাফকে আজ সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দেশের মাটিতে শায়িত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতির এক শ্রেষ্ঠ সন্তান। সৈয়দ আশরাফের মত কীর্তিমানদের জীবনে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। নশ্বর জীবনে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বাইরে অবিনশ্বর কর্মে সৈয়দ আশরাফরা বেঁচে থাকেন কোটি মানুষের মনে মহাকালের মহীরুহ হয়ে। এ মহিরুহের ছায়ায় বেড়ে ওঠে আগামীর মহাকাব্যিক মহীরুহরা।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
https://www.sebahotnews.org/2019/01/bye-mahakula-mahiru-syed-ashraf.html?utm_source=Facebook&utm_medium=Social&utm_term=%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%2C+%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B9+%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6+%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%21&utm_content=%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%2C+%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B9+%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6+%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%21&utm_campaign=Promotion#.XDOAa1wzazc
ReplyDelete