
আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ প্রতিনিধি: একটি ব্রীজের অভাবে সিরাজগঞ্জে তাড়াশ উপজেলার একটি গ্রামের জনসাধারণ পোহাচ্ছেন চরম দুর্ভোগ। বর্ষাকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও কৃষিপণ্য পরিবহনে গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ।
চলনবিল অধ্যুষিত হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের পাশে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া খানপাড়া গ্রামটিতে প্রায় ২০ হাজার কৃষক পরিবারের বসবাস। কিন্তু সড়কের সাথে গ্রামটির যোগাযোগ আটকে আছে একটি সেতু না থাকার কারণে।
হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান, বর্ষাকালে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হলেও বৃদ্ধ, শিশু আর রোগী নিয়ে চলাচল খুবই ঝুকিপূর্ণ। নৌ পথে কৃষিপন্য পরিবহনেও রয়েছে নানা ভোগান্তি।
এ গ্রামটি ৭টি পাড়া গঠিত। বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের মানুষ ঝুকি নিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, বর্ষাকালে কৃষক, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ীসহ গ্রামের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়। । যদি কোনো শিশুর পা সাঁকো থেকে সরে যায় তাহলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
খানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, তারা নিজেদের উদ্যোগে সাঁকোটি তৈরি করেছেন। গ্রামের দোকান ব্যবসায়ীদের বাজার থেকে পন্য আনতে যাতায়াত খরচও বেশি পড়ে যায়। বর্ষাকালে সাঁকো পিচ্ছিল হওয়ার কারণে পার হতে বেগ পেতে হয় এলাকাবাসীর।
⇘সংবাদদাতা: আশরাফুল ইসলাম রনি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।