বিনিয়োগ মন্দা কাটাতে আগামী সপ্তাহেই আসছে নতুন মুদ্রানীতি…

S M Ashraful Azom
0
বিনিয়োগ মন্দা কাটাতে আগামী সপ্তাহেই আসছে নতুন মুদ্রানীতি…
সেবা ডেস্ক: দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগে যে মন্দা যাচ্ছে, তা কাটাতেই এবারের মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বিনিয়োগবান্ধব ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বলে সূত্রে জানা গেছে। যেখানে দেশজ মোট উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ মাথায় রেখেই প্রবৃদ্ধি সহায়ক নতুন এই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।

মুদ্রানীতি নিয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদের তিন দফায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২৬ অথবা ২৭ জানুয়ারি হওয়ার কথা রয়েছে। পর্ষদের বৈঠকে মুদ্রানীতির খসড়াটি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। পর্ষদ এটি অনুমোদন করলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে এটি ঘোষণা করা হবে। নতুন এই মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেখানে মুদ্রানীতির মাধ্যমে ব্যাংকে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ থাকবে। ফলে ঋণের সুদের হার কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে মধ্যে রাখার লক্ষ্য থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে দুই বার, অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে এই মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হলো-মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, ঋণের প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের যোগান ধার্য করা এবং মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করা। মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে খুব বেশি ভূমিকা থাকে না। তবে সরকারের কাছে বিনিয়োগ বাড়ানোর একটি প্রত্যাশা বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের রয়েছে।’

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর ’১৮) মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। যদিও ব্যাংকগুলোতে টাকার সংকট ও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি এখন নিম্নমুখী। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। ডিসেম্বরের প্রবৃদ্ধি গত ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে আশানুরূপ বিনিয়োগ না হওয়ায় ২০১৫ সালে এমন পরিস্থিতি ছিল।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ওই অর্থবছরে অর্জিত হয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ০.৪৬ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ৭.৮৬ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top