
আনসার আলী, মধুপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুর জোনের ৫ রাবার বাগানে ধর্মঘটের ৩ মাস পর অবশেষে কাজে ফিরল রাবার শ্রমিকরা। বাগেনের পিচমিল টেপিং শ্রমিকরা ৪ দফা দাবিতে টানা ৩ মাস ধরে ধর্মঘট পালন করে আসছিল। স্থানীয় সাংসদ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশক্রমে তার প্রতিনিধি দল, বশিউক, উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে গতকাল রোববার আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের এই শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন করেছেন। ফলে গতকাল রোববার থেকেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার ও রোববার দুই দিন পীরগাছা রাবার বাগানে বসে দীর্ঘ আলোচনা শেষে শ্রমিকদের দাবি পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয় এবং শ্রমিকদের আশ^স্ত করা হয়। কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আলোচনা সভায় শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের প্রতিনিধি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, মধুপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মো. সিদ্দিক হোসেন খান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, মধুপুর থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বশিউক) এর মধুপুর জোনের জেনারেল ম্যানেজার তারেক মো. আজাদ, মধুপুর রাবার জোনের ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) ওয়ালিউর রহমান, সিটি হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল ইসলাম রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহম্মেদ সজিব, পীরগাছা পিচমিল টেপিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শানু, সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, শ্রমিক আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন, বাবুল রিছিল, খয়বর আলী, শাহজাহান আলী, নীলিমা সাংমা ও খাদিজা বেগম প্রমূখ।
বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বশিউক) এর মধুপুর জোনের জেনারেল ম্যানেজার তারেক মো. আজাদ জানান, মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের আলোচনা শেষে টানা ৩ মাস পর গতকাল রোববার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। জানা যায়, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বশিউক) এর আওতাধীন মধুপুর-শেরপুর জোনের পীরগাছা, চাঁদপুর, কমলাপুর, সন্তোষপুর ও কর্নজোড়া এ ৫ রাবার বাগানের ১৬‘শত পিচমিল টেপিং শ্রমিক গত ১৩ অক্টোবর থেকে টেপিং বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেন। ২০০০ সাল থেকে পিচমিল শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত যে সকল শ্রমিক বর্তমানে টেপিং কাজে সংযুক্ত আছে এবং কষ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ, অস্থায়ী ভাবে পিচমিল নিয়ম বাতিল করে মাসিক মাষ্টার রোল ভিত্তিক নিয়মিত শ্রমিকের সমপরিমাণ মজুরী প্রদান, কারখানায় শ্রমিকদের মাষ্টার রোলে মাসিক ১৫ হাজার টাকা মজুরী প্রদানসহ ৪ দফা দাবীতে ৫ রাবার বাগানের প্রায় ১৬‘শত শ্রমিক ৩ মাস যাবৎ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
⇘সংবাদদাতা: আনসার আলী
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।