
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুর-বাটাজোর সড়কের কীর্ত্তনখোলা ধুমখালি এলাকায় বেইলী সেতুর পাটাতন ভেঙে গত দুই সপ্তাহ ধরে সকল ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে একটি মালবাহী ট্রাক পারাপারকালে জরাজীর্ণ ওই সেতুর পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় এ দূর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং যানবাহন। যদিও ময়মনসিংহের ভালুকা, গফরগাঁও, গাজীপুরের শ্রীপুর ও মাওনা এলাকায় যাতায়াতের সখীপুর সদর থেকে সীডস্টোর হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ ওই সেতু।
স্থানীয়দের তথ্যে জানা যায়, সখীপুর সদর থেকে সীডস্টোর হয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা, গফরগাঁও, গাজীপুরের শ্রীপুর ও মাওনা যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এছাড়াও এ উপজেলা থেকে রাজধানী ঢাকা যাতায়াতের বিকল্প সড়কও এটি। প্রতিদিন ওই সড়কে মালবাহী ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট, মাইক্রোবাসসহ প্রায় হাজার খানেক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। তবে সেতুটির পাটাতন ভেঙে পড়ায় ওইসব এলাকার পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি এলাকায় ওই সেতুটি নির্মিত হয়। তবে গত ২/৩ বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে সেতুটি।
এ স্বত্তেও ব্যবহার অনুপযোগি ওই সেতুটি বছরে দফায় দফায় মেরামত করে সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা সচল রাখেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সড়কটিতে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চলাচলরত যানবাহনের সংখ্যা। যার ফলে ভঙ্গুর হয়ে পরা ওই সেতুটি এখন ভয়াবহ প্রাণহানীর শঙ্কা সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠাসহ হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে জরুরী হয়ে পরেছে ওই বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ।
এ প্রসঙ্গে সখীপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস জানান, ওই সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই ওই সেতু নির্মাণের অনুমোদন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও শিগগিরই সেতুর ভেঙে যাওয়া পাটাতনটি সংস্কার করে দ্রুত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হবে বলেও জানান তিনি।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।