বাংলাদেশে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

S M Ashraful Azom
0
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য
সেবা ডেস্ক: দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সরকারের নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয় যুক্তরাজ্যকে। আর এতে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তরের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এমন কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নব-নিযুক্ত হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের মার্ক ফিল্ড-এর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সম্পর্কে পরস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেই এবং আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশীয় এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও বহুমুখীকরণ, বাংলাদেশের মেগা অবকাঠামো প্রকল্প জ্বালানি, আইটি ও সেবা খাতে আরো ব্রিটিশ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংযোগসহ কৌশলগত স্তরে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’

৩০ ডিসেম্বরে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর মন্ত্রিসভায় নবীন ও তরুণ রাজনীতিকদের অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন মার্ক।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮ টি আসনের মধ্যে ২৫৭ টি আসন পায়। দলটি নির্বাচনের জয়ের পর সব থেকে বড় চমক দেখিয়েছে মন্ত্রিসভা গঠনে। যেখানে প্রায় পুরোনো মন্ত্রীদের বদলে অর্ধেকেরও বেশি নতুনদের মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছে।

একইসাথে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার মানবিক পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ সরকারের গভীর প্রশংসার কথা পুনর্ব্যক্ত করে ব্রিটিশ মন্ত্রী জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছা, মর্যাদাপূর্ণ, স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন তার বক্তব্যে। ব্রিটিশ মন্ত্রী জানান যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ‘গণহত্যা’ রোধে ব্রিটিশ সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে তার অগ্রণী ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বর্মি সেনাদের অতর্কিত অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক প্রভাবশালী দেশ রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দ্বার খুলে তাদের দেশের মাটিতে আশ্রয় দেন।

এদিকে হাইকমিশনার তাসনিম, সেই দেশটির মন্ত্রীকে জানান যে যুক্তরাজ্যে দায়িত্বের মেয়াদে তার প্রধান কাজ হবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এসময় তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীর সঙ্গে ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের একটি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করেন। একই সাথে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের মধ্যে জোরালো ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top