আলাদা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা

S M Ashraful Azom
0
আলাদা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯
সেবা ডেস্ক: অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই পর্বেই অনুষ্ঠিত হতে হচ্ছে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী ইজতেমা পরিচালনা করবেন পাকিস্থানী আলমী শুরাপন্থীরা আর তাবলীগের মূলধারার মুসল্লীরা ইজতেমা করবেন ১৭ ও ১৮ই ফেব্রুয়ারী।

আলাদা দুই পর্বে ইজতেমা হওয়ায় জায়গা সংকুলানসহ যাবতীয় জটিলতা আপাতত সমাধান হল। একই সাথে বিবাদমান দুপক্ষের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে দেশজুড়ে ছিল চরম উৎকন্ঠা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বারবার একত্রে বিশ্ব ইজতেমা করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করলেও তাবলীগের মুরুব্বীরা বলে আসছিলেন, নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের মুরুব্বীদের একক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা করলে বিশ্বব্যাপি তাবলীগের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশী মুসল্লীরা বিশ্ব মারকাজ ও বিশ্ব আমীর ছাড়া ব্যপকভাবে ইজতেমায় অংশ গ্রহন করবে না। এতে করে মূলত বাংলাদেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব ইজতেমার ক্ষমতা ও মর্যাদা খর্ব হওয়াসহ ঐতিহ্য বিনষ্ট হতে পারে।

আজ বেলা ৩টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে দুই পর্বে আলাদা বিশ্ব ইজতেমার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এসময় কাকরাইলের আহলে শূরা তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খান শাহাবুদ্দীন নাসিম, মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হেফাজতসহ তৃতীয়পক্ষের কোন মুরুব্বী আজ উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, শতবছর আগে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতি কাজকে তরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রাহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রাহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।

দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি সাদ কান্ধলভী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। গত কয়েক বছর ধরে কান্ধলভীর এসব সংস্কারের কথা নিয়ে তাবলিগ-জামাতের দুটি পক্ষের মধ্যে চরম বিভক্তির সৃষ্টি হয়।


সাদ কান্ধলভীর বলেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়’ - যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়।

সাদ কান্ধলভী আরও বলেন, ‘মাদরাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদরাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে পড়া উচিত - যাতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে।’

কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ কান্ধলভী যা বলছেন - তা তাবলিগ-জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী। তাদের বক্তব্য, কান্ধলভীর কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে।


⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top