
রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ নামের এক পরিবারের ওপর নির্মম ভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা প্রথমে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রকে বেদম মারপিট করে ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে। তাকে ছাড়াতে গেলে একের পর এক ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবাইকে মারপিট করে আহত করে। উপজেলার যাদুরচর শ্রীফলগাতি গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের সঙ্গে একই গ্রামের চিহ্নিত জামায়াত শিবিরের ক্যাডার তাহের আলীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বাবলু মিয়া সন্ধা রাতে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা। তাদের বাড়িতে নিয়ে বাবলু মিয়াকে বেদম মারপিট করে এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাবলুকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা জামায়াত শিবিরের ওই ক্যাডাররা তাদের ওপর হামলা করে আহত করে। এ অবস্থায় যাদুরচর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ গিয়ে আটকে রাখা বাবলুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। আহত বাবলুর অবস্থা আশংকাজনক। রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা আহত বাবলুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
যাদুরচর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা সাখওয়াত হোসেন সবুজ জানান, হামলাকারি তাহের আলী ও তার ভাই ভাতিজারা সবাই জামায়াতশিবিরের চিহ্নিত ক্যাডার। তাছাড়াও তাহের আলী কয়েক খুনের মামলার আসামিও। তুচ্ছ ঘটনায় জামায়াত শিবিরের ওই ক্যাডাররা এত নির্মম ও বর্বর হতে পারে তা এলাকাবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছে।
ওই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে ১০জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। থানা পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।