গাইবান্ধা প্রতিনিধি: স্বামী শাকিল ও তার বন্ধু আনারুল মিলেই খুন করে রেহেনাকে। তার আগে মরা করতোয়া নদীর পাড়ে স্বামী শাকিল ও বন্ধু আনারুল মিলে রেহানার সম্মতিতে শারীরিক মেলামেশা করে।
তারপর নদীতে গোসল করার সময় দুজন মিলে রেহেনাকে প্রথমে ডুবিয়ে হত্যা করে। তারপর তার মৃতদেহ নদী থেকে তীরে তুলে এনে আনারুল ছুরি দিয়ে গলা কাটে এরপর দুই স্তন কেটে আলাদা করে পানিতে ফেলে দেয়। আনারুল শাকিলের সংগে থাকা কুড়াল দিয়ে শাকিলের সহায়তায় রেহানার দু’হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে কচুরিপানার মধ্যে নিক্ষেপ করে।
শেষে রেহানার মৃতদেহ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রেখে দু’জন নিজ বাড়ি চলে যায়। আর এই নৃশংস হত্যাকান্ড আসামিদ্বয় ঠান্ডা মাথায় সম্পন্ন করে বলে গত ৪ ফেব্র“য়ারী বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের নিকট স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক এ জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দি দেয়ার সময় শাকিল জানান, ১৩ বৎসর সংসার জীবনে সামান্য মনমালিন্যের কারনে নিজ স্ত্রীকে বন্ধুর সহযোগিতায় গত ২৪ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টায় গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের গুমানীগঞ্জ মীরকুচি মদনতাইড় নামক স্থানে হত্যা করে। আর ঘটনার দুদিন আগে শাকিল মাত্র ১৫শ’ টাকার বিনিময়ে তার বন্ধু আনারুলকে এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডটি সংগঠিত করার জন্য ভাড়া করে।
গত ১ ফেব্রয়ারী দুপুরে এলাকাবাসী কচুরিপানার নীচ মধ্যে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেহানার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তদন্তের এক পর্যায়ে ওই দিনই রেহানার শশুরকে গ্রেপ্তার করলে সে জিজ্ঞাসাবাদে তার ছেলে শাকিল এই হত্যাকান্ডের সংগে জড়িত থাকার তথ্য দেয়। পুলিশ দুদিন টানা অভিযান চালিয়ে ৩ ফেব্র“য়ারি কুড়িপাইকা এলাকা হতে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্যে গোবিন্দগঞ্জ শহরের মাছবাজার এলাকা হতে আসামি আনারুল কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের তথ্য মতে ঘটনাস্থল হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা ছুরি ও শাকিলের বাড়ির হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এএকেএম মেহেদী হাসান জানান, আসামি শাকিল ও আনারুল উভয়ই মাদকাসক্ত। গত সোমবার তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।