টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আধুনিক যোগের নানাবিধ আবিষ্কারের কারণে কালের আবর্তে বিলীন হতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী করটিয়ার মৃৎশিল্প। তবুও এই আধুনিক যোগের আধুনিক আবিস্কারের মধ্যেও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকেই। মাটির সঙ্গে মানুষের জীবন অতোপ্রোত ভাবে জড়িত। মাটিকে সবাই পায়ের নিচে রাখতেই অভ্যস্ত। সেই মাটি যখন উঠে আসে আমাদের ঘরে সাজিয়ে তোলে অন্দরমহল, তখন মাটির স্থান আভিজাত্যে। মৃৎশিল্প এমনই একটি মাধ্যম যা মাটিকে নিয়ে আসে মানুষের কাছাকাছি।
কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের করটিয়ার অতি প্রাচীন মৃৎশিল্পটি হারিয়ে যেতে বসেছে। আয়ের থেকে ব্যয়ের অসঙ্গতি আর জীবমান উন্নয়নের জন্য ক্রমশই অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তারা।
করটিয়ার সমীর পাল বলেন, বাপ-দাদার জাত ব্যবসা ধরে রাখার জন্য বিগত ৩৫ বৎসর ধরে এ পেশায় কাজ করছি। কিন্তু আমার ছেলেরা এ পেশায় নেই। দিনে দিনে মাটির তৈরি জিনিষের চাহিদা কমছে।
উত্তম কুমার পাল, অনন্ত কুমার পাল, মনো পাল ও সুশীল পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা। এই ব্যবসা করে আমি ২ সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়েছি, আজ তারা ভাল চাকরি করে। এক সময় মাটির তৈরি জিনিষের করটিয়ায় ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের জীবমান উন্নত হওয়ার জন্য আমাদের মাটির তৈরি জিনিষ খুবই কম চলে। জন্মগতভাবে এ পেশা ইচ্ছে করলেই ছাড়তে পারিনা।
করটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, একসময়ে মৃৎশিল্পটি করটিয়ায় খুব জনপ্রিয় ছিল। কালের বিবর্তনে আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকার মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ঋণদান কর্মসূচী সহ নান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।