জামালপুর এ পুরাতন সিলেবাসে নতুন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

S M Ashraful Azom
0
জামালপুরে পুরাতন সিলেবাসে নতুন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা
জামালপুর এ পুরাতন সিলেবাসে নতুন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

জামালপুর প্রতিনিধি
।। জামালপুরে জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে সদর উপজেলার দুটি ও বকশীগঞ্জ উপজেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত প্রশ্নের পরিবর্তে ভিন্ন সেটে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫৯ জন ও তুলসীপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪৩ জন পরীক্ষার্থীকে গত বছরের প্রশ্ন দেয়া হয়। প্রশ্ন পাওয়ার ২৫ মিনিট পর, পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারেন-এটা গত বছরের প্রশ্ন। পরে শিক্ষকদের জানানো হলে ওই প্রশ্ন পরিবর্তন করে বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে তুলসীপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়া হয়। পরে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করে।

এদিকে হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের দেরিতে প্রশ্নপত্র দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দেরিতে প্রশ্ন দেয়া হলেও অতিরিক্ত সময় না দেয়ায় কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করে পরীক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থীর ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই কেন্দ্রে বিভিন্ন স্কুলের ৩১১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাসের অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৩ জন। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সালের সিলেবাসে এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পুরাতন ও নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র থাকলেও দুইশতাধিক নতুন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন। পরীক্ষা শেষে ঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর অবশ্যই কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সানোয়ার হোসেন জানান, ভিন্ন সেটে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।

কেন্দ্র সচিব বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, ভুলবশত ভিন্ন সিলেবাসের প্রশ্ন বিতরণ ও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানান তিনি।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top