
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে এস.এস.সি পরীক্ষার প্রথম দিনে নির্ধারিত প্রশ্নের পরিবর্তে ভিন্ন সেটে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফলে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ি প্রনিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়। এতে করে ওই বিষয়ে ফেল করার আশংকা করছেন তারা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাসের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলো ১৩ জন। ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সনের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন এবং ২০১৬-১৭ সনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সনের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পুরাতন ও নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র থাকলেও ২ শতাধিক নতুন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া ২০১৮ সনের সিলেবাসের প্রশ্ন। পরীক্ষা শেষে ঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর অবশ্যই কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেন ইউএনও ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান,ভিন্ন সেটে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কোন সূযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, ভুলবশত ভিন্ন সিলেবাসের প্রশ্ন বিতরণ ও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা।
⇘সংবাদদাতা: বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।