
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মদনতাইড় ও কুড়িপাইকা এলাকার মরা করতোয়া নদীর কচুরীপানার নীচে গৃহবধূ রেহেনা বেগমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ওই দুটি গ্রাম।
ওই গৃহবধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ওভাবে নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়। ওই ঘটনায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের বেপরোয়া অভিযানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ওই দুই গ্রামের নারীরা।
পুলিশ প্রতিরাতে হানা দিচ্ছে সেখানে এবং বাড়ীর পুরুষ ও ছেলেদের খোঁজ করছে। ফলে ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছে ওই গ্রামের পুরুষ ও যুবকরা।
ওই দুই গ্রামের নিরীহ ও নির্দোষ গ্রামবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদ এবং নির্দোষ মানুষকে হয়রানি না করার দাবীতে গতকাল রোববার দুপুরে গ্রামের মহিলারা মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে। মিছিল নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদ চত্বর ও শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় মিছিলকারীরা দাবি করে মামলায় নাম অন্তর্ভূক্ত না থাকা স্বত্ত্বেও কুড়িপাইকা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও ফেরদৌসকে আটক করা হয়েছে। তারা এর প্রতিবাদ এবং গ্রেফতার দু’ব্যক্তির মুক্তি দাবি জানান।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান বলেন, গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ নির্যাতনকারি না, তারা জনবান্ধব। তাই অযথা পুলিশ কাউকেই হয়রানি বা আটক করবে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্জাক ও ফেরদৌসকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে মদনতাইড় ও কুড়িপাইকা এলাকার মরা করতোয়া নদীর কচুরীপানার নীচ থেকে গ্রহবধূ রেহেনার গলা কাটা ও হাত বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার মূল নায়ক রেহেনার স্বামী শাকিল মিয়া সহ জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।