
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : শরীরে অচল দুটি কিডনি নিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে মামুন। সদ্য পাশ করা টগবগে তরুণ এই ইঞ্জিনিয়ারের পুরো নাম মিনহাজুল আরেফিন মামুন (২৮)। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া এলাকার বাবা মহসীন আলী ও মাতা সিসেস দৌলতুন্নেছার ছেলে। লেখা পড়া শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেছেন বেশি দিন হয়নি। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করে সে।
মাত্র ৯ মাস হলো বিয়ে করেছেন মামুন। স্ত্রী আখিঁ মনির হাতের মেহেদী এখনো শুকোয়নি। পিতা মহসিন আলী এবং মা দৌলতুন্নেছার সাথে স্ত্রীকে নিয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় থাকেন তিনি।
সম্প্রতি নরসিংদীতে ডোরেন পাওয়ার প্লান্টের ২২ মেগাওয়াট একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে জব শুরু করে মামুন। কিন্তু হঠাৎই তার দুুটি কিডনিই বিকল হবার মতো দুঃসংবাদ তার জীবনে নেমে আসে কালো ছায়ার মতো। নতুন চাকরির বেতনের সামান্য অর্থ সব খরচা করে বাংলাদেশের চিকিৎসা শেষে ভারতের চেন্নাই রাজ্যে চিকিৎসাধীন করেছেন।
সেখানকার এ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক রাজামহেষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখন আর কিছুই করার নেই কিডনি পরিবর্তন ছাড়া। তার মানে দু'টো ড্যামেজ হওয়া। এখন ১টি হলেও কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। এরজন্য ৩০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে। অনেক কষ্ট করে ডায়ালাইসিস করে জীবনমৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন মামুন।
তার বৃদ্ধ পিতা মাতার চোখের সামনে অকালেই ঝড়ে যাবার উপক্রম একটি মেধাবী তাজা প্রাণ। অথচ তারা কিছুই করতে পারছেন না অর্থাভাবে।
মামুনের পিতা মহসিন আলী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন জরুরীভাবে কিডনি পরিবর্তন না করলে, অকালেই ঝড়ে যাবে সম্ভাবনাময় একটি তাজা প্রাণ। সমাজের সহৃদয় বিবেকবান বিত্তশালীদের কাছে, আর্থিক সাহায্যের আবেদন রইলো আমার পরিবারের পক্ষ থেকে। সাহায্য পাঠানোর হিসাব নং-৪০০২০১০০০৬৫২৩ রুপালী ব্যাংক কলোনী বাজার শাখা,বগুড়া। মোবাইল বিকাশ ও রকেট নং ০১৭২২-১০৯৩০১ (রোগী) ০১৭৩০-৬১৬৪৬৮ (রুগীর মা)।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।