
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে শুনলো রণাঙ্গনের বীরত্বগাঁথা। বগুড়ার সর্বকণিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে কিভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং বিভিন্ন রণাঙ্গনে কিভাবে শত্রুদের পরাস্ত করেন সেই কাহিনী বর্ণনা করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর কথার মাঝে যেন নিজেরাও হারিয়ে যায় একাত্তরের দিনগুলোতে।
বুধবার সকাল ৯টায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কর্মসূচি ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র যৌথ উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে এই কর্মসূচি চলছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়ার উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আব্দুস সামাদ।
অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক টি জামান নিকেতা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়ার সমন্বয়কারী এ টি এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান।
বগুড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এবং সারিয়াকান্দির উপজেলা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রেনিংয়ে কিভাবে অস্ত্র চালনা শিখেছেন এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে অপারেশনে অংশ নিয়েছেন। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন আব্দুর রাজ্জাক অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। তিনি অমুক্তিযোদ্ধাদের সনদ অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধদের অবমূল্যায়নের কথাও তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
পরে তাদের অংশগ্রহণে কুইজ পর্বে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরষ্কার হিসেবে পায় মুক্তিযুদ্ধের বই । “মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন” অনুষ্ঠান এপর্যন্ত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।