ট্যারটেরি খেলনা গাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গাইবান্ধার কারিগররা!

S M Ashraful Azom
0
ট্যারটেরি খেলনা গাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গাইবান্ধার কারিগররা!
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: আর মাত্র দুদিন পরেই ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ ( শুভ নববর্ষ) বাংলা  ১৪২৬ সন। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডস্থ পার্ক রোডে বিভিন্ন রঙ বেঙয়ের প্লাষ্টিকের তৈরি পাখা দিয়ে বাচ্চাদের খেলনা গাড়ি ট্যারটেরি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন খেলনা তৈরির কারিগররা।

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কারিগরদের ব্যাস্ততা ততই বেড়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর দূর্গা পূজা, পহেলা বৈশাখ, অষ্টমীর ঘনিয়ে এলে কারিগরদের ব্যাস্ততা বেড়ে যায় খেলনা তৈরিতে। কাঠ ও প্লাষ্টিকের হ্যান্ডেল, লোহা, প্লাষ্টিকের চাকা, পাচ ফ্যান, প্লাষ্টিকের তৈরি বিভিন্ন পাখির ডিজাইনের পাখা দিয়ে তৈরি কাঠ ও প্লাষ্টিকের ট্যারটেরি খেলনা তৈরি করে পাইকরে দরে তা বিক্রি করা হচ্ছে।

আর এসব খেলনা গাইবান্ধা সদর উপজেলা সহ জেলার ৭ টি উপজেলা সহ কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রাজিপুর, পীরগাছা, বগুড়া সহ দূরদুরান্ত থেকে ব্যাবসায়ীরা গাইবান্ধা থেকে কাঠের খেলনা ৫ শ কিনে নিয়ে যেয়ে মেলা দিয়ে খুচড়া দরে তা ১৫শ থেকে দুই হাজার টাকা শ বিক্রি ও প্লাষ্টিকের খেলনা ট্যারটেরি ৯ শ থেকে হাজার টাকা  শ কিনে নিয়ে যেয়ে তা অধিক দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের দুলু শেখ জানান, ২৫ বছর আগে দিনাজপুরের চেরাডিংগি মেলা থেকে এ কাজটি শিখেছেন ও কাজ করছেন। তবে প্রতি বছর উপরোল্লিখিত এসব সিজিনে তিনি এসব জিনিষ তৈরি করেন। অন্য সময় চাষের কাজ করেন। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মাল বানিয়ে তিনি এসব সিজিনে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ করেন।

অন্যদিকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোরাবান্দা গ্রামের হানিফ (৪৫) জানান, তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর হল এ পেশার সাথে জড়িত। এবং এ দিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের অন্য যোগান। তিনি ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাল বানিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করেন।


⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top