
সেবা ডেস্ক: দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ঠাকুরগাঁও- ৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে সমালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহিদুর রহমানের শপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, সিদ্ধান্তহীনতা এবং অবিশ্বাসের রাজনীতি স্পষ্ট হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের উপর বিএনপির যে নিয়ন্ত্রণ নেই তা আরেকবার প্রমাণ হলো এই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে। রাজনৈতিক মেধা ও যোগ্যতা অবজ্ঞা করে অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রি করায় নেতাদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন তারেক রহমান। অর্থের কাছে মেধা যখন পরাজিত হয় তখন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতাদের জন্য আমি শোক প্রকাশ করছি। বিএনপি নেতারা যে সুযোগসন্ধানী সেটি পুনরায় প্রমাণ হলো। সিদ্ধান্তে অটল থাকতে জানে না বিএনপি। লোভ-লালসার কাছে প্রতিবার পরাজিত হয় দলের নেতারা। জাহিদুরের শপথে বিএনপি নেতাদের মাঝে অসহায়ত্ব দেখেছি আমি। এটির জন্য অবশ্য তাদের মনোনয়ন ও নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া দায়ী।
তিনি আরো বলেন, অর্থের কাছে যখন মেধার পরাজয় ঘটে তখনই রাজনৈতিক দলগুলোতে এই ধরণের বিপর্যয় ঘটে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে মনোনয়ন দেয়ায় নেতাদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন তারেক। অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে সুবিধা নেবে না- এমন ত্যাগী ও সংযমী নেতা বিএনপিতে অন্তত বিরল।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বাম-রাজনৈতিক দল গণ-সংহতি আন্দোলনের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, জাহিদুর প্রমাণ করলেন বিএনপির রাজনীতিতে অন্তত নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই। আমার মনে হচ্ছে, দলটির বাকি নির্বাচিতরাও শপথ নেবেন। আমার ধারণা, বেগম জিয়া মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যদি যুক্ত থাকতেন তাহলে এগুলো হতো না। অভিজ্ঞতার কাছে পরাজিত হলো দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে যে বিস্তর ফারাক তা পুনরায় প্রমাণ হলো। তারেক বিএনপির জন্য অনুপযুক্ত- সেটি আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন জাহিদুর।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।