গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয় চলে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে

S M Ashraful Azom
0
গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয় চলে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে

জেলা প্রতিনিধি,গাইবান্ধা: গাইবান্ধার চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরের পর বছর চলছে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে। এসব বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষকই বিদ্যালয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

এই কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত মোল­¬ার চর ইউনিয়নের চিথুলিয়া দিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারজানি ইউনিয়নের নুনগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাসজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বেহাল হয়ে পড়েছে। উলে­খিত বিদ্যালয়গুলোর নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অধিকাংশই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। অথচ ওই শিক্ষকদের পরিবর্তে এলাকার অল্প শিক্ষিত ব্যক্তিরা তাদের সাথে মাসিক ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে প্রক্সি শিক্ষক হিসেবে ওইসব বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন।

ওইসব বিদ্যালয়ে কোনদিনই শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় নিয়মিত জমায়েত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন বা শরীর চর্চাতেও অংশ গ্রহণ করে না। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক বিকাশের জন্য এসব কর্মকাণ্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তদুপরি ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেউ কেউ বছরের পর গাইবান্ধা জেলা শহর এমনকি ঢাকা শহরেও বসবাস করেন। তাদেরকে এলাকার অভিভাবক তো দূরের কথা, শিক্ষার্থীরাই চেনে না। তারা শুধু মাসে বিদ্যালয়ে একবার এসে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর দিয়ে বেতন-ভাতা তুলে নিয়ে যান। তবে এজন্য তাদেরকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রকমের পারিতোষিক দিতে হয়।

এব্যাপারে কামারজানি ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, চরের বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনেককেই এলাকার লোকজন চেনেন না। বদলি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান করায় শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার লোকজন এব্যাপারে বহুবার শিক্ষা বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।


⇘সংবাদদাতা: জেলা প্রতিনিধি
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top