
সেবা ডেস্ক: প্রধান প্রধান সড়ক এবং মহাসড়ক গুলোতে নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে যাত্রিদেরকে জিম্মি করে অভিনব কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু সিএনজি এবং অটোচার্জার চালক।
যেনো প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। আর তাদের এহেন ন্যাক্কারজক, অমানবিক কর্মকান্ডের জন্য প্রতিবাদ করতে গেলে হয় বেইজ্জতি হতে হবে আর না হয় ওদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হবে। এর ব্যাতিক্রম কিছু ঘটবে বলে মনে হয় না। কেননা, এটির চরম বাস্তবতা আছে ।
একসময় রাস্তায় চলাচলের জন্য তেমন কোনো একটা গাড়িও ছিলো না। আর এখন মানুষ অনেক আধুনিক হয়ে গেছে, মানুষ এখন আর পায়ে হেটে কোথাও যায় না। দুই মিনিটের রাস্তা হলেও তারা কোনো একটা গাড়িতে চড়ে যেতে চায়।
একসময় মানুষ পায়ে হেটে দূরদূরান্তে সফর করতো। পরবর্তিতে গরুর গাড়ির প্রচলন শুরু হয়। বর্তমানে গরুর গাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামের মেঠোপথে আর চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি।
গরুর গাড়ির পরে গ্রামাঞ্চলে পায়ে ঠ্যালা বা পেডেল করা ভ্যান গাড়ির প্রচলন শুরু হয় । এর কিছুদিন যেতে না যেতেই, ভুটভুটি,নসিমন,করিমন ইত্যাদি গাড়ির দেখা মিলতে লাগলো রাস্তায় রাস্তায়। সেইসাথে হারাতে বসতে লাগলো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির প্রচলন।
পর্যায়ক্রমে পায়ে ঠ্যালা পেডেল করা ভ্যান এবং বিশ্রী, বিকট শব্দ থেকে পরিত্রাণ পেতে শ্যালোম্যাশিন দিয়ে তৈরীকৃত ভুটভুটি, নসিমন,করিমনে লোকজন যাতায়াত না করে স্বাচ্ছন্দে,নির্বিঘ্নে,রিলাক্সমুডে চলাচল করতে ভ্যান,ভুটভুটি,নসিমন,করিমন এবং স্কুটার বেবীট্যাক্সির বিকল্প আরাম দায়কভাবে যাতায়াত করার জন্য মানুষ অটোচার্জার এবং সিএনজিতে চড়ে একস্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়া আসা শুরু করে। আর এই প্রচলন অদ্যবধি চলমান আছে। আর পথচারীদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন অযুহাতে কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না টাঙ্গিয়ে তাদের ইচ্ছে মতো যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতিছে। যা একেবারেই আইন বহির্ভূত। সাধারণ যাত্রীরা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়।
লালমনিরহাট জেলার তুষভান্ডার হতে কাকিনা যেতে সিএনজি এবং অটোচার্জার চালকদের ভাড়া দিতে হয় ১০ টাকা। কিন্তু একই দূর পথের জন্য কাকিনা থেকে মহিপুর ঘাট পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হবে আপনকে ২০ টাকা, কি আজব না! এক জায়গায় দুইনীতি। আবার মহিপুর (গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু) থেকে রংপুর মাত্র ১৮ কিলোমিটারের জন্য আপনাকে ভাড়া গুনতে হবে ৩০ টাকা, যা নিয়মের বাহিরে দিগুন ভাড়া । যা সত্যি সাধারণ যাত্রীদের কাছে অনেক ।
এ থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ চায়। সকলের প্রাণের দাবি অতি তারাতারি গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু দিয়ে বাস চলাচল করুক। এর ফলে সাধারণ মানুষ অল্প টাকায় রংপুরে আসতে পারবে। জানা যায় , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাট-রংপুরের দূরত্ব কমাতে তিস্তা নদীর উপর ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ নির্মাণ করেন। সেতুটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টোল ফ্রি এ সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর কিছু হালকা যানবাহন চলাচল শুরু করে। এতে দুই জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নের দ্বার খুলে যায়। কিছুদিন চলার পরে সেতুটি নির্মাণের সময় উভয় পাশে শুরুতেই ধ্বসে যায় সড়ক।
এতেই বাস সার্ভিস বা ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যার ফলে সেতু নির্মাণের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে লালমনিরহাট-রংপুর জেলার মানুষ
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।