আসছে জুলাই থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে

S M Ashraful Azom
0
আসছে জুলাই থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে
সেবা ডেস্ক: এ বছরের জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। এর মেয়াদ হবে ১০ বছর। বর্তমানে বিশ্বের ১১৯টি দেশে এই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতেই বাংলাদেশও ই-পাসপোর্টের পথে পা বাড়াচ্ছে।

সরকারের বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। এই প্রকল্পে সরকারিভাবে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জার্মানি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হবে।

কেমন হবে ই-পাসপোর্ট : পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটাবেইজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। অবশ্য ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হবে না। তবে কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্য সংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পলিমারের  তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে পাবলিক কি ডাইরেকটরিতে (পিকেডি)।

আন্তর্জাতিক এই তথ্য ভাণ্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তখ্য ভাণ্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারে। ই-পাসপোর্টের বাহক কোনো দেশের দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে নেবে এবং আবেদন গ্রহণ করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা বাতিল করে সিল দেবে। স্থল ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও একই পদ্ধতিতে পিকেডিতে ঢুকে ই-পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করবে।

পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে আরও জানা গেছে, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে চাহিদা মোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। যাদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাদের এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাদের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট থাকবে, তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান থাকবে।

সূত্র জানায়, শুরুতে ২০ লাখ পাসপোর্ট জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ওই কারখানায় থেকে ই-পাসপোর্ট ছাপানো অব্যাহত রাখা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। বর্তমানের বই আকারের পাসপোর্টে সরকারের যে টাকা ব্যয় হয়, সেই অনুপাতে ই-পাসপোর্ট চালু হলে পাসপোর্ট প্রতি সরকারের প্রায় ৩ ডলার করে সাশ্রয় হবে।

⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top