
সেবা ডেস্ক: রূপসার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অফিসার ইনচার্জ সরদার ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কেসিসি মার্কেটের ২য় তলায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন স্থানীয় রাজু আহমেদ। অবিলম্বে তার অপসারণ ও কলেজের প্রশাসন ভবনের নাম ফেরদৌস আহমেদের পরিবর্তে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব করার দাবিও এলাকাবাসীর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কলেজটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মতিতে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ও ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালের ১৪ মে কলেজটি সরকারিভাবে পরিপূর্ণ কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময়ে ফেরদৌস আহমেদ বাংলা বিভাগের তৃতীয় শিক্ষক ছিলেন। বিধি মোতাবেক তৃতীয় শিক্ষক সরকারি কলেজে থাকার কথা নয়।
এছাড়া জাতীয়করণের পর সকল নিয়োগ বন্ধ করে পরিপত্র জারী করা হলেও কলেজটির অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস সরদার নিজ পরিবারের পাঁচজনসহ অবৈধ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ২৫জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন; যা আইন বহির্ভূত। শুধু নিয়োগ বাণিজ্য নয়; ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে আত্মীয়করণ, সংখ্যালঘুদের জমি দখল করে একাধিক ইটভাটার মালিকসহ রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কলেজটির স্বার্থে অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ অফিসার ইনচার্জের অপসারণ ও প্রশাসনিক ভবনের নাম ফরদৌস আহমেদের পরিবর্তে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ মার্চ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ফেরদাউস সরদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহিদ জমাদ্দার লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে কলেজের অফিসার ইনচার্জ সরদার ফেরদৌস আহম্মেদের ব্যবহৃত (০১৭১৬ ২৪০৭৮৯) নম্বরে (সর্বশেষ গত সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে) কয়েকবার কল করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।