
রফিকুল আলম, ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকার বৈঠা ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশী বৈঠকে প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আহত সফিজ উদ্দিন (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত সফিজ উদ্দিন উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর যমুনা নদীতে মাছ ধরার জন্য একটি নৌকা রয়েছে। গত ২০ এপ্রিল বিকেলে একই গ্রামের বাবু খানের লোকজন যমুনা নদীতে আশরাফ আলীর নৌকাটি বইতে নিয়ে অসাবধানতা বসত একটি বৈঠা ভেঙে যায়। এ ঘটনায় নিয়ে যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর বাবু খানের লোকজনের সাথে আশরাফ আলী ও তার লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাটি সমঝোতার জন্য ২১ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে পার্শ্ববতী গোসাইবাড়ি বাজার এলাকায় রিপন মিয়ার চা ষ্টলে উভয়পক্ষের মধ্যে সালিশী বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আশরাফ আলীর ছেলে সফিজ উদ্দিন আহত হয়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আহত সফিজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্ত সেখানে সফিজ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সফিজ উদ্দিন মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সফিজ উদ্দিনের বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শিমুলবাড়ি গ্রামের ঘুতু খানের ছেলে বাবু খানসহ ১৩জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী বাবু খান ও তার লোকজন পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সফিজ উদ্দিনের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
⇘সংবাদদাতা: রফিকুল আলম
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।