
রফিকুল আলম, ধুনট প্রতিনিধি: ধান ও সবজি চাষে লাভের মুখ না দেখে সোনালী আঁশে দেখেন সেই স্বপ্ন। কিন্ত বিধি বাম, যে সময়ে সোনালী আঁশ ঘরে ওঠার কথা সেই সময়ে যমুনা নদীর পানি বেড়ে কৃষকের সেই স্বপ্ন তলিয়ে গেছে। চোখের সামনে সোনালী স্বপ্ন ডুবে যাওয়া দেখে কষ্টে ছটফট করছেন কৃষকরা।
সোমবার দুপুরের দিকে সরেজমিন বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডরবাড়ি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে যমুনা নদীর চরে ফসলি জমিতে উঠতি পাটগাছ পানিতে তুলিয়ে যাওয়ার এমন চিত্র চোখে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে বৈশাখী, রাধানগর, কৈয়াগাড়ি, নিউসারিয়াকান্দি, পুকুরিয়া, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ি ও শহড়াবাড়ির গ্রামে প্রায় ৩০ হেক্টর জমির সোনালী আঁশ (পাট) তুলিয়ে গেছে।
নিউ সারিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে জমিতে বীজ বপন করার সুযোগ হয়েছিল। অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে খরচ কম ও অধিক লাভজনক। তাই, গত বছরের তুলনায় এবার নদীর তীরে পাট চাষের পরিমান বেড়ে যায়।
পুকুরিয়া গ্রামের আবুল কাসেম জানান, গত বছর তিনি ২০ শতক জমিতে পাট চাষ করে ভালো দাম পেয়েছেন। এ কারণে এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্ত পাট পরিপক্ষ হওয়ার আগেই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে একমুঠো পাট ঘরে তোলা যাবে না। সব শেষ হয়ে গেলো।
অথচ এই পাট চাষের আয় দিয়ে তিনি একটি নৌকা তৈরীর পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই নৌকা দিয়ে যমুনা নদীতে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে উপার্জনের স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু যমুনা পাড়ের আবুল কাসেমের ন্যায় অনেক প্রান্তিক চাষীর স্বপ্ন ডুবছে নদীর ঘোলা জলে।
ধুনট উপজেলা উপ-সকহারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে শুরু করেন। পাটের দাম তুলনা মূলক ভাবে বেশি। এছাড়া জালানি হিসেবে লাকড়ির মূল্য বেশি। নানা কারণে যমুনা পাড়ের কৃষকরা এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।