রফিকুল আলম,ধুনট: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রুবেল আকন্দ (৫৫) নামে এক দিনমজুরের গলাকাটা লাশ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তেতুলিয়া ডেবলবাড়ি গ্রামে করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুবেল ধুনট উপজেলার শিয়ালি গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। শনিবার মধ্যরাতে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে রুবেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।
রোববার দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় করতোয়া নদী থেকে রুবেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতের ভাই শাহা আলম ও তার স্বজনরা রুবেলের মৃতদেহ সনাক্ত করেছে।
রুবেলের মৃতদেহটি সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে জামাই নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নাহিদ হাসান পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি গ্রামের জাহেদুর রহমানের ছেলে নাহিদ হাসান প্রায় ১২ বছর আগে রুবেল আকন্দের মেয়ে রুমা আকতারকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় নাহিদকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। কিন্ত ২ বছর ধরে নাহিদ তার শ্বশুরের নিকট অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা দাবী করে। কিন্ত শ্বশুরের পক্ষে জামাইয়ের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনা নিয়ে শ্বশুর-জামাইয়ের মাঝে বিরোধের জের ধরে গাবতলি উপজেলার বেলতলী সোনাইখালী খালের সেতুর পাশে রুবেলকে গলাকেটে হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক যুবক ভাসমান লাশের ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফেসবুকে ছবি দেখে স্বজনরা রুবেলের মৃতদেহটি সনাক্ত করে ধুনট থানা পুলিশকে জানায়।
ধুনট থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের ৩ দিন পর ঘটনান্থল থেকে ৪০ কিলোমিটার ভাটিতে উল্লাপাড়ার করতোয়া নদী থেকে রুবেলের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক নাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।