
মোহাম্মদ আলী : জেলার ৭টি উপজেলার মানুষের সাথে সাথে তাদের গবাদি পশুও বানের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। মানুষের ন্যায় তাদের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াও ভাসমান জীবন যাপন করছে।
বন্যায় জেলার ৫হাজার ৬৭একর চারনভূমি প্লাবিত হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। মানুষ তাদের নিজের পাশা পাশি গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা হিমশিম খাচ্ছেন।
গত ২১জুলাই নাগাদ জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের হিসাব অনুযায়ী এবারের বন্যায় ৭ উপজেলার ৩লাখ ৫৬ হাজার ৮শ ১২টি গরু, ৩হাজার ৫শ ৪৪টি মহিষ, ১লাখ ২৭হাজার ৯শ ৮০টি ছাগল, ২৪হাজার ৭শ ৮৫টি ভেড়া, ৭লাখ ৮৭হজার ২শ ৩৬টি মুরগি ও ১৬লাখ ৯৯হাজার ৭শ ৭৪টি হাঁস আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে ৫হাজার ৬৭ একর গবাদি পশুর চারনভূমি প্লাবিত হয়েছে।
এই চরম দুর্যোগময় মূহুর্তে নিজেদের খাবারের পাশাপাশি পশু খাদ্যের সঙ্কট পোহাচ্ছেন বানভাসি মানুষ। তবে, মানুষের হাহাকারে মানুষ পাশে এসে দাঁড়ালেও পশুর হাহাকারে প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি।
এব্যাপারে বন্যায় আক্রান্ত প্রাণিকুলে খাদ্য সঙ্কট নিরসনে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের কার্যক্রম কি? এ বিষয়ে মঙ্গলবার, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল ইসলামের মতামত জানতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তিতে তার মোবাইলে বার বার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে, এ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত গবাদি পশুর মাঝে গো-খাদ্য সরবরাহের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়নি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।