
সেবা ডেস্ক: পিরোজপুর জেলার অধিকাংশ এলাকাই নদী দ্বারা বেষ্টিত। এ জলজ মাটির ঐতিহ্যের অংশ পেয়ারা চাষ। নেছারাবাদের পেয়ারাই দেশজুড়ে বরিশালের পেয়ারা বা বাংলার আপেল খ্যাত নামে সুপরিচিত। পেয়ারার মৌসুমে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক যান এ উপজেলায়। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে প্রথমবারের মতো হয়েছে পেয়ারা পার্ক।
পর্যটকরা ট্রলার অথবা নৌকা ভাড়া করে আসেন এ পার্কে। দলবেঁধে তারা ঘুরে দেখেন বিস্তীর্ণ বাগান। নিজের হাতে পেয়ারা পেড়ে খান। শৈশব ফিরে পাওয়ার মতো সে এক অপার আনন্দ।
পার্কে নিজের হাতে পেয়ারা পেড়ে খেতে নেই কোনো মানা। পর্যটকদের জন্য এই পার্ক গড়ে তুলেছেন আদমকাঠি গ্রামের পাঁচ বেকার যুবক। তারা জানান, এখানে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও আছে।
জুন থেকে শুরু হয়ে পাঁচ মাস চলে পেয়ারা সংগ্রহ। নৌকায় করে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে আনা হয় উপজেলার বিভিন্ন খালের ভাসমান হাটে। সেখান থেকে পেয়ারাগুলো ট্রলার, ট্রাক ও লঞ্চে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ইউএনও সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, এ পার্কে রয়েছে খাবারসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। তবে নেছারাবাদ পর্যটন শিল্পটি যাতে আরো সম্প্রসারিত হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেয়ারা পার্কের প্রতিষ্ঠাতারা জানান, যদি সড়ক ও সেতুগুলো ভালো হতো তাহলে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বাড়ত। সংশ্লিষ্টরা যথাযথ নজর দিলে এ উপজেলা পর্যটন শিল্প হিসেবে রূপ নেবে। এছাড়া পেয়ারা বাগান হতে পারে দর্শনীয় স্থান ও হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের উৎস।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।