ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

S M Ashraful Azom
0
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব
সেবা ডেস্ক: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য শান্তি-সম্প্রীতি ও স্থিতিশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল মঙ্গলবার  বিকেলে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতা আমাকে বলে, ইন্দো-প্যাসিফিকের যেকোনো উদ্যোগে পাঁচটি বিষয় থাকা উচিৎ। প্রথমত, সব দেশের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি। দ্বিতীয়ত, টেকসই উন্নয়নের সবদিকে মনোযোগী হওয়া। তৃতীয়ত, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ভিত্তিতে দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করা। চতুর্থত, সবার জন্য সম্পদ সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া ও উন্নয়নটা সার্বজনীন হতে হবে। পঞ্চমত, বৈরিতা নয়, সুন্দর প্রতিযোগিতা করতে হবে।

এর আগে, সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামস অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯ শীর্ষক গ্রীষ্মকালীন সম্মেলন শুরু হয়।

তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদসহ প্রায় ১ হাজার ৮শ’র বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনটি ‘ডব্লিউইএফ সামার দাভোস’ নামেও পরিচিত।

উত্তর-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র উত্তর চীনের হংকং হিসেবে পরিচিত লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং।

অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত জেনেভাভিত্তিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাসের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব এবং লিয়াওনিং প্রদেশের গভর্নর ত্যাং ইউজুন।

প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় কয়েকটি বড় অর্থনীতির সক্ষমতা ও তাদের চাহিদার বিষয়টিই বিবেচনায় নেই। কিন্তু, আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত যাত্রায় ও টেকসই বিশ্বের জন্য অবশ্যই ছোট সম্প্রদায় অথবা অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির জন্য কিছু করতে হবে।

তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম গতিশীল অঞ্চল হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। বঙ্গোপসাগরের পাশের দেড় বিলিয়ন মানুষ সমৃদ্ধ এটি উদীয়মান অঞ্চল। উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভূ-রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আমার জন্য প্রয়োজন হলো, আমার জনগণের দারিদ্র্য নিরসন করা। জনগণের উন্নয়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত, জাপান, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ মিলে একটা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের (আরসিইপি) জন্য সাত বছর ধরে আলোচনা চলছে, যেন এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো যায়। আমরা এতে অবশ্যই আগ্রহী। আমরা যেকোনো কানেকভিটি বা আঞ্চলিক সহযোগিতায় সবসময় থাকবো।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top