মক্কা-মদিনায় অবস্থানকালে যে নিয়মগুলি মেনে চলবেন?

S M Ashraful Azom
0
মক্কা-মদিনায় অবস্থানকালে যে নিয়মগুলি মেনে চলবেন
সেবা ডেস্ক: এবার হজ মৌসুমে বাংলাদেশের মুসলমানরাসহ পৃথিবীর অনেক মুসলমান সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। মক্কা-মদিনায় অবস্থানকালীন সময় হজ পালনেচ্ছুদের পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও যে নিয়মগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি, তা তুলে ধরা হলো-

হজ উপলক্ষে সারাবিশ্ব থেকেই লাখ লাখ হজ পালনকারী মক্কা-মদিনায় সমবেত হয়। সবাই আল্লাহর মেহমান। ব্যাপক ভিড়ের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা সম্ভব নয়। হজের সময়গুলোতে দলবদ্ধভাবে চলাফেরার বিকল্প নেই।

যদিও প্রতিটি হজ কাফেলা এবং সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক হজ সেবায় প্রস্তুত। তথাপি নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে দলবদ্ধভাবে চলাফেরায় যাবতীয় জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

হজ কর্তৃপক্ষ যে দিকনির্দেশনা দেয় এবং হজ কাফেলার মুয়াল্লিমদের পরামর্শ মেনে চলা সবার জন্য একান্ত আবশ্যক। কাফেলার সঙ্গে থাকা দিনগুলোতে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে একজনের অসুবিধার জন্য কাফেলার অন্যদের সমস্যায় পড়তে হয়। চলাফেরায় কাফেলার সঙ্গীদের পারস্পরিক সহযোগিতা একান্ত দরকার।

মুয়াল্লিম বা কাফেলা প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোথাও না যাওয়া। আত্মীয়-স্বজন বা বাহিরে কোথাও গেলে লিখিত অনুমতি নিয়ে যাওয়া।

কাফেলার জন্য নির্ধারিত থাকার জায়গার বাইরে হাজিদের অন্য কোথাও না যাওয়া। তাছাড়া বাইরে থাকার অনুমতিও নেই।

হোটেলে কিংবা বাসা বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রান্না-বান্নাসহ কাপড় স্ত্রী না করা। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।

কাফেলার প্রত্যেককেই হজ কর্তৃপক্ষ ও মুয়াল্লিম অফিস থেকে সরবরাহকৃত কব্জি বেল্ট ও মুয়াল্লিম কার্ড নিজেদের কাছে রাখা। যাতে কেউ হারিয়ে গেলে কব্জিবেল্টের সাহায্যে নিজ নিজ কাফেলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

হোটেল বা বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সময় একা একা না বের হয়ে দলবদ্ধভাবে বের হওয়া।

হজ-ওমরার জিয়ারতের যাবতীয় কাজ তথা কাবা শরিফ তাওয়াফ, নিয়মিত জামাতে  অংশগ্রহণ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ, আরাফাতের ময়দানে গমন, মিনায় অবস্থান, মুজদালিফায় রাত যাপন এবং শয়তানকে কংকর নিক্ষেপসহ সব জায়গায় বেশি মালামাল না নেয়া।

হজের সফরে কোনোভাবেই খালি পায়ে না হাঁটা। কারণ প্রচণ্ড গরমের কারণে পায়ে ফোসকা পরতে পারে। তাই সব সময় ছোট ব্যাগে সেন্ডেল রাখা।

হজের সফরে বাইরে অবস্থানকালে ছাতা, পানি সঙ্গে রাখা এবং সম্ভব হলে ফলের রস পান করা এবং চর্বিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা।

কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গেই কাফেলার সঙ্গী তথা মুয়াল্লিমকে অভিহিত করা এবং বাংলাদেশ হজ অফিস কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য ক্লিনিকে দ্রুত যোগাযোগ করা।

পরিবেশ রক্ষায় হোটেলে বা বাইরে সব সময় ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা।

সুন্দর ও সঠিকভাবে হজ পালনে কাফেলার প্রত্যেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও ধৈর্য ধারণ করা যেমন জরুরি। ঠিক তেমনি হজ পালনে ইচ্ছুকদের উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়াও জরুরি।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা হজের এ দীর্ঘ সফরকে হজ পালনকারীদের জন্য সহজ করে দিন। হজ পালনকারীদেরকে হজের নিয়ম-কানুনগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top