উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্কুল আঙ্গিনার ১৮টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলালের বিরুদ্ধে।
![]() |
উল্লাপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের ১৮টি গাছ কাটার অভিযোগ |
বুধবার সকালে কাছ কাটার বিষয় নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন স্থানীয় জনগণ।
এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ছাইদুল ইসলাম ও ভাটবেড়া গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল কতৃপক্ষকে না জানিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় বেড়ে ওঠা ইউক্যালিপটাস সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৮টি বিশালাকৃতির গাছ কেটে গোপনে দেড় লক্ষ টাকা বিক্রির জন্য পায়তারা করছিল। গোপনে বিক্রি করা গাছগুলো কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসীর নজরে আসে। তখন স্থানীয় সদস্য ও জনগণ হৈচৈ শুরু করলে বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি শুরু হয়। ফলে এলাকাবাসীর চাপে বন্ধ হয়ে যায় গোপনে কর্তন করা গাছ বিক্রির কার্যক্রম। এব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাইদুল ইসলাম।
এবিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, ওয়াসব্লক স্থাপনের জন্য স্কুলটি তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাই কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন:
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলে তবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়া গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটলে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি বিধি ভঙ্গ করে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ কাটার অপরাধ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা সহ ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হারুনর রশীদ জানান, প্রতিষ্ঠানের গাছ সরকারি সম্পদ। অনুমোদন ছাড়া কাটা হলে সরকারি আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ সানাউল্লাহ নিকট এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।