রফিকুল আলম,বগুড়া: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ৩২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এতে ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চর প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে। পানি যত বাড়ছে, পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। পানি ঢুকে যাওয়ায় ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।
জানা গেছে, যমুনার ঢলে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ও সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল, চন্দনবাইশা, কামালপুর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন এবং সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ও তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের খেত। এছাড়া সোনাতলা উপজেলার খাবুলিয়ারচর, সরলিয়াচর, ভিকনের পাড়াচর, মহেশপাড়াচর, জন্তিয়ারচর এবং খাটিয়ামারির চরের বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আজহার আলী মÐল বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারিয়াকান্দিতে এক হাজার এবং সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট করে শুকনো প্যাকেট খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ভান্ডারে ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং তিন লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বগুড়ার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।