
সেবা ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভূলতা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডেমরা জোনাল টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজের নেতৃত্ব হৃদয়কে ধরতে নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে হৃদয় ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হলে হৃদয় বুঝতে পারে তাকে খোঁজাখুজি করা হয়েছে। সে চলে যায় নারায়ণগঞ্জে তার নানীর কাছে। দুদিন পর চুল ন্যাড়া করে। এছাড়া তার সব কাপড় পুড়িয়েও ফেলতে বলেন তার নানীকে। এখন পর্যন্ত হৃদয় আরো বেশ কয়েজনের নাম বলেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রেনুকে পিটিয়ে হত্যার যেসব ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিন/চার তরুণকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিল নীল টি-শার্ট পরিহিত হৃদয়। হৃদয়ই রেনুকে পিটিয়ে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেনু যখন বেধড়ক পিটুনি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে পড়ে ছিল, তখনও থামেনি হৃদয়।
হাতে থাকা লাঠি দিয়ে রেনুর মুখে, বুকে, পেটে, হাতে ও পায়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে পিটিয়ে যাচ্ছিল সে। আশপাশের লোকজনের অনেকে ‘থামো থামো, আর মের না, মরে গেছে’ এসব বলে হৃদয়কে থামানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু, পাশবিক রূপ ধারণ করে সে তখনও রেনুকে প্রহার করে যাচ্ছিল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কুলের পাশেই তার একটি সবজির দোকান ছিল। তবে পড়াশোনা না জানা হৃদয় উত্তর বাড্ডায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত। মাদক সেবন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মারামারি-কাটাকাটি করাই ছিল হৃদয়ের কাজ।
হৃদয় এলাকায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত। মাদক সেবন, ইভটিজিং, মারামারি-হানাহানি করে বেড়াত সে। মাসখানেক আগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে একজনকে ছুরিকাঘাতও করেছিল সে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।