
সেবা ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। সমুদ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে জোয়ারের পানি। তাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সেখানে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে দুই দিন ধরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে টেকনাফে আটকে পড়েছে দ্বীপের অর্ধশতাধিক মানুষ।
সোমবার সকালে সায়মন বিচ এলাকার বালুচর দিয়ে বেলি হ্যাচারি অংশে উঠতে গিয়ে বালুতে আটকে যায় মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন। পরে জোয়ারের পানিতে এসব যানবাহন নৌকার মতো দোল খেয়ে ভাসতে থাকে। গভীর সাগরে তলিয়ে যাবার ভয়ে গাড়িগুলো রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছে মালিক-চালকরা।
ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশে পানি ঢুকে বিকল হয়ে গেছে এসব যান। জোয়ারের পানির ঢেউ তীর ছোঁয়ায় মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সব ধরনের যান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে সারাদিন। এতে পর্যটক ছাড়াও কলাতলীর দক্ষিণ অংশের হাজারও শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, বালিয়াড়ির উপর ভর করে সড়কটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগামী এনজিও, সোনারপাড়া, বাহারছরা ও হিমছড়ি এলাকার যানবাহন মালিক-যাত্রীরা ব্যবহার করছে। সোমবারও প্রতিদিনের মতো বালুচর দিয়ে গাড়ি পার হতে গিয়ে চোরাবালিতে আটকে যায় এনজিও সংস্থার মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী ট্রাক এবং ইজিবাইক।
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটের নৌযান সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় রোববার থেকে সেন্টমার্টিনে কোনো নৌযান চলছে না। টেকনাফে আটকে পড়া অনেকেই স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।
টেকনাফের ইউএনও মো. রবিউল হাসান বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।