
সেবা ডেস্ক: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিধুলী ইউপির চরলোটাবর রাস্তা ও একটি ব্রিজ পরিদর্শনে গেলে অসাবধানতা বশত পানিতে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় পর দিন স্থানীয় ও জেলা ডুবরির সহযোগিতায় ফোনটি পানি থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি বাপক সাড়া ফেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘বন্যার পানি দেখতে গিয়ে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার সময় হাত ফসকে পানিতে পড়ে যায় মাদারগঞ্জের ইউএনও আমিনুল ইসলামের স্ত্রীর মোবাইল ফোনটি। অত্যন্ত প্রিয় ফোনটি হারিয়ে মন খারাপ হওয়ায় ফোন উদ্ধারে ডুবুরি দিয়ে তা উদ্ধার করা হয়।’ যা কিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ওপর মনগড়া একটি সংবাদ বলে জানান ইউএনও আমিনুল ইসলাম।
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, সিধুলী ইউপির চরলোটাবর রাস্তা ও একটি ব্রিজ পরিদর্শনে গেলে অসাবধানত বশত ফোনটি পানিতে পড়ে যায়। মোবাইল ফোনটি যেহেতু সরকারি ছিল তাই এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বার ও ডকুমেন্ট থাকায় বাধ্য হয়েই তা উদ্ধার করতে হয়েছে। আমার সঙ্গে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন। এখানে আমার স্ত্রী সন্তান কেউই ছিলো না।
তিনি আরো বলেন, আমার বক্তব্য না নিয়েই বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন এবং ফেসবুকে সংবাদটি আমার স্ত্রীর ফোন এটা উল্লেখ করে ফোন উদ্ধারে জন্য ডুবুরি ব্যবহার করার বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমার হৃদয়ে নাড়া লেগেছে। এতে আমার সম্মানের ক্ষতি করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যেশে বলেন, সংবাদটি প্রকাশ করার পূর্বে তার বক্তব্য নিলে হয়ত এ ভুলটি হতো না।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।