
রফিকুল আলম,ধুনট : বগুড়ার ধুনট-শেরপুর এলাকার মাদক কারবারি একাধিক মামলার আসামী যুবলীগের দুই নেতাসহ ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে ১০ লিটার চোলাইমদ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ধুনট পৌর এলাকার সদরপাড়া গ্রামের ছবদের আলীর ছেলে উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক সুজন মিয়া (৩৬) ও আব্দুর রহমানের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক ফরহাদ হোসেন (৩৬), রহিম উদ্দিন সরকারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জগদিস (৪৫) ও একই এলাকার চিকাশি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ (২২)। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সুজন মিয়া, ফরহাদ হোসেন ও তার দুই সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন ও ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ধুনট ও শেরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর উপজেলার রনবিরবালা সেতু এলাকায় স্থানীয় ভাবে তৈরী চোলাইমদ বিক্রি করছিল সুজন ও ফরহাদ হোসেনসহ তার দুই সহযোগী।
সংবাদ পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে সুজন ও ফরহাদ হোসেনসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের নিকট থেকে ১০ লিটার চোলাইমদ জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই তাদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান বলেন, শেরপুর থানায় খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি সুজন ও ফরহাদ হোসেন চোলাইমদসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দর সাথে কথা বলে সুজন ও ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, সুজন, ফরহাদ হোসেন ও তার ২ সহযোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার রাতে ১০ লিটার চোলাইমদসহ তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।