
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে মধ্য জুলাইয়ে বয়ে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট,ফসলের ক্ষতি সাধন হয়। এবারের ভয়াবহ বন্যায় কৃষকের ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। যেসব এলাকায় বীজতলা রোপন করা ছিল সেগুলো বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকরা বন্যা পরবতী সময়ে রোপা আমন চাষে বীজতলা সংকটে পড়ে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে রোপা আম চাষ নিয়ে। কেউ কেউ রোপা আমন চাষ বাদ দেওয়ার চিন্তা করেছেন। আবার কেউ অন্য উপজেলা থেকে চড়া মূল্যে বীজতলা কিনে জমিতে রোপণ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ক্ষতির কথা চিন্তা করে রোপা আমন ধানের বীজতলা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেন।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে “কমিউিনিটি বীজতলা” রোপন করা হয়। এর মধ্যে স্বল্প জীবনকাল ধানের বীজতলা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আলমগীর আজাদ জানান, এই উপজেলায় বন্যায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই তাদের সহযোগিতার জন্য উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে ৬০০ কৃষককে ব্রি-আর-২২, বিনা ধান-৭ ,ব্রি আর-৩২ সহ স্বল্প জীবনকালের কমিউনিটি বীজতলা বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। রোপনকৃত এসব বীজতলা ৬০০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকদের সাথে কথা বলে বীজতলা শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।