জেনে নিন পবিত্র মক্কা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

S M Ashraful Azom
0
Find out some unknown information about Holy Mecca
সেবা ডেস্ক: মুসলিম উম্মাহের পবিত্র নগরী মক্কা সম্পর্কে মুসলিম জাহানের আবেগ বরাবরই সর্বোচ্চ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ।

আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সা.) এর জন্মভূমি এই শহরটি প্রত্যেক  মুসলমানের আবেগের সঙ্গে জড়িত এবং জীবনে অন্তত একবার হলেও এই পূণ্যভূমিতে আমরা পা রাখতে চাই।

কিন্তু এই শহর সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই জানা নেই। এখানে এমন কিছু অজানা তথ্যে নিয়ে আলোচনা করা হলো-

> মক্কা মানুষের অব্যাহতভাবে বসবাস করে আসা পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বে জমজম কূপের অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়। 

> যদিও এই শহরের প্রতি মুসলমানদের আবেগ সর্বোচ্চতম, তবুও কোনো ইসলামী খিলাফত বা সাম্রাজ্য এমনকি  খোলাফায়ে রাশেদিনের সময়েও এই শহরটির রাজধানীর মর্যাদা ছিল না।

> মক্কা একটি হারাম তথা সম্মানিত শহর যেখানে কোনো প্রকার রক্তপাত এবং অন্যান্য নৈরাজ্যের সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ। তবে মক্কার সম্পূর্ণ অংশ হারামের সীমানার মাঝে পড়েনি। শহরের কিছু কিছু এলাকা যেমন শারাইয়া-সহ অন্যান্য কিছু এলাকা মক্কা শহরের অংশ হলেও এগুলো হারাম এলাকার সীমানার বাইরে।

> মক্কাকে একসময় ‘বাক্কা’ নামে ডাকা হত। এমনকি কোরআনের সূরা আলে-ইমরানের ৯৬ নম্বর আয়াতে এই নামটির উল্লেখ আছে।

> পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আনয়ামের ৯২ নম্বর আয়াতে মক্কাকে ‘উম্মুল কুরা’ অর্থাৎ ‘সকল বসতির মাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

> মক্কাকে বর্তমানে সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয় মক্কা আল-মুকাররামাহ। এর শাব্দিক অর্থ হলো ‘সম্মানিত মক্কা’।

> যদিও মদীনা মুনাওয়ারা নবীর শহর হিসেবে পরিচিত, তথাপি আল্লাহর রাসূল (সা.) তার জীবনের অধিকাংশ সময় মক্কাতেই কাটিয়েছিলেন। ৬৩ বছরের জীবনে ৫৩ বছরই রাসূল (সা.) মক্কাতে জীবনযাপন করেন।

> সাধারণ অবস্থায় মক্কার জনসংখ্যা প্রায় পনেরো থেকে বিশ লাখের মতো থাকে। তবে হজের সময় তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষের মত দাঁড়ায়।

> মক্কা ও মদীনায় জেয়ারতের কারণে সউদি আরব পর্যটক গ্রহণের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রাষ্ট্র।

> কোনো বিশেষ কর্মকান্ড বা বিশেষ সম্প্রদায়ের কাছে কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কোনো স্থানকে বুঝাতে ইংরেজিতে জনপ্রিয়ভাবে বিশেষণ হিসেবে ‘মক্কা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

> মক্কার কেন্দ্রভূমিতে পবিত্র কাবা ও মসজিদুল হারাম অবস্থিত, যা শহরটির নিম্নতম স্থান।

> কাবাঘরের সঙ্গে সংযুক্ত হাজরে আসওয়াদ দীর্ঘ একটা সময় কাবা থেকে অনুপস্থিত ছিল। ৯৩০ ঈসায়ীর দিকে সন্ত্রাসবাদী কারামাতী সম্প্রদায় মক্কা আক্রমন করে হাজিদেরকে হত্যা করে এবং হাজরে আসওয়াদকে পূর্ব আরবে তাদের প্রভাবাধীন অঞ্চলে নিয়ে যায়। তেইশ বছর পর ৯৫২ ঈসায়ীতে পাথরটি উদ্ধার করে পুনরায় কাবাঘরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।

> ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্যা টেলিগ্রাফ মক্কার মসজিদুল হারামকে ব্যয়বহুলতম স্থাপনা হিসেবে বর্ণনা করেছে। টেলিগ্রাফের তথ্যানুযায়ী সমগ্র স্থাপনার নির্মাণগত মোট খরচ একশত বিলিয়ন ডলারেরও অধিক।

> পৃথিবীর দ্বিতীয় ব্যয়বহুলতম স্থাপনাটিও মক্কায় অবস্থিত। মসজিদুল হারামের নিকট সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত মক্কার বিখ্যাত ক্লক টাওয়ার তথা আবরাজ আল-বাইত একইসঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম ক্লক টাওয়ার হিসেবে পরিচিত।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top