
জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুর মেলান্দহের মাহমুদপুর কৃষি ব্যাংকে ঋণ প্রদানের নামে কৃষক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভ‚ক্তভোগি কৃষক রফিকুল ইসলাম ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে মাহমুদপুর ইউনিয়নের বগানাংলা গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে রফিকুল ইসলাম গং মাহমুদপুর কৃষি ব্যাংক থেকে ৮৬ শতাংশ জমি মরগেজ দিয়ে ৩ লাখ টাকা সিসি লোন করেন। ব্যাংকের নিয়ম কানুন মেনে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা লোন উত্তোলন করেন। এই ৫ লাখ টাকা লোনের মধ্যে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ বাবদ ব্যাংকে জমা করেন।
ইতোমধ্যেই রিকভারি লোন ৮/১০ লাখ টাকা তোলার জন্য ব্যাংক ম্যানেজার ও আইও’র কাছে ধর্না দেন। ব্যাংক কতৃপক্ষ মরগেজ জমির পরিমান বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আশ^াসে কৃষক রফিকুল ইসলামের সদ্য ক্রয়কৃত জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। এতে তাঁর অতিরিক্ত ব্যায় হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। কাগজপত্র জমা দেয়ার পর ব্যাংক থেকে জানিয়ে দেয়া হয় ৫ লাখ টাকার বেশি লোন দেয়া যাবে না। বর্তমানে ৫ লাখ টাকাও দিচ্ছে না। এতে ওই কৃষক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরে অশিক্ষিত ওই কৃষক জানতে পারেন, ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী পূর্বের জমাকৃত কাগজমূলে ১০ লক্ষাধিক টাকার লোন দিতে পারবে। এরপরও তাকে লোন দেয়ার নামে টানা ৩ মাস যাবৎ টালবাহনা করছে। লোনও দিচ্ছে না এমনকি ব্যাংকে লেনদেন আটকে দিয়েছে। এতে তাঁর দুই দিকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাহমুদপুর ব্যাংক ম্যানেজার উদয় রায় বলেন-ওই গ্রাহকের লেনদেন সন্তোষজনক। তিনি লোন পাবেন। তবে ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী ঋণপ্রস্তাব পাশ হবার পর। এ ছাড়াও ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইও’র বদলি জনিতকারণে একটু সমস্যা হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।