অবশেষে কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত

S M Ashraful Azom
0
অবশেষে কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
সেবা ডেস্ক: অবশেষে ৩৯ দিন পর জম্মু-কাশ্মীরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। খুলে দেয়া হয়েছে ফোন লাইন ও ইন্টারনেট পরিষেবাও।

শুক্রবার রাজ্য সরকারের জনসংযোগ ও তথ্য অধিদফতরের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে হজরতবাল এলাকায় নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়।

এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয় বিধিনিষেধ। সড়কগুলোতে গড়ে তোলা হয় কাঁটাতারের বেরিক্যাড। টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনেকেই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।

কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটক সংখ্যার বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার। তবে ৬ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাশ্মীরে অভিযান শুরুর পর থেকে তিন হাজার আটশ’ মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে এসব মানুষকে কীসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, এর আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও জীবনযাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দোকানপাট বন্ধই ছিল, ফাঁকা ছিল স্কুলগুলোও। সড়কগুলোতে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।

ভারত সরকারের জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনেকেই। রাজনীতিকদের আটকের বিরুদ্ধেও আদালতে পিটিশন জমা পড়ে। আদালত আইনের এক শিক্ষার্থী, সিপিএম’র সিতারাম ইয়েচুরি ও মেহবুবা মুফতির মেয়েকে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেয়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি এখনও শুরু হয়নি।

এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এদের অনেককেই জননিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীরের জন্য প্রণীত এই বিশেষ আইনের অধীনে বিনা বিচারে যে কাউকে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।

কাশ্মীরের জনসংযোগ অধিদফতর এক বিবৃতিতে জানায়, সব এলাকা থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ল্যান্ডলাইন কাজ করছে এবং মোবাইল পরিষেবাও চালু করা হয়েছে।

তবে হজরতবাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, হজরতবালে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর আগে থেকে বহাল নিষেধাজ্ঞা পাঁচটি থানায় বলবৎ রয়েছে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top