
জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরকিয়ার অভিযোগে স্ত্রী পলি আক্তারকে (২৫)কে পিটিয়ে আহত করেছে স্বামী লিয়াকত আলী খান। শুক্রবার রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট বাজারের জনসেবা ডায়াগনোস্টিক এন্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বামী লিয়াকত আলী খান জনসেবা ক্লিনিকের মালিক।
২০১৪ সালে মেন্দারবেড় গ্রামের আব্দুল হালিম মাস্টারের ছেলে লিয়াকত আলী খান কান্দারপাড়া গ্রামের মৃত একেএম ফজলুল হকের মেয়ে পলি আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তানও আছে।
পলি আক্তারের মা লিলি বেগমের অভিযোগ লিয়াকত আলী ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করেছে। পলিকে পিটিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এবং তাকে চেতনানাশক ইনজেকশ দেয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পলি বাথরুমে আশ্রয় নেয়। এ সময় পলিকে মৃত ভেবে স্বামী লিয়াকত পালিয়ে যায়। পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোবারক হোসেন রাজা মিয়া পলি আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
নির্যাতিতা পলি আক্তার বলেন- জনসেবা ক্লিনিকে চাকরির সুবাদে সম্পর্কের সূত্রে তাদের বিয়ে হয়। এর আগেও লিয়াকত আলী দুইটি বিয়ে করেছে। বিয়ের পর পলির নামে নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করেছে। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য পলিকে চাপ সৃষ্টি করতো।
ওদিকে অভিযুক্ত স্বামী লিয়াকত আলী খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জনসেবা, নিরাময় ও ভুয়াপুরে লাইফ কেয়ার নামে তিনটি ক্লিনিকের মালিক। দুইটি ক্লিনিক নিজে পরিচালনা করেন।
জনসেবার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় স্ত্রী পলির উপর। স্বামীর অনপুস্থিতিতে স্ত্রী পলি স্থানীয় রাজা মেম্বার ও আনোয়ার নামে দুইজনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পলি স্বামী লিয়াকত আলীকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিলো। ক্লিনিকের আয়-ব্যায় নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। এ নিয়ে স্ত্রীকে চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে রাজা মেম্বারের শেখানো কথায় সে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিজের শরীর নিজে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্ত্রের ইনচার্জ এসআই ইউনুস আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।