
সেবা ডেস্ক: নতুন একটি প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলছে বিশ্বে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু চাহিদানুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না। তারা খাবার হিসেবে যা খেয়ে থাকে তার মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে না। পাঁচ বছরের নিচে বিশ্বের ২০ কোটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর ফলে ভবিষ্যতে মানবজাতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সূত্র- বিবিসি
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ, প্রায় ৭০ কোটি শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এদের মধ্যে রয়েছে শীর্ণকায় ও স্থূলকায় দু'ধরনের শিশুই। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথমবারের ইউনিসেফ শিশুদের পুষ্টি ও খাবারের মান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বলা হয়েছে, সাধারণত দরিদ্র ও ধনী দেশগুলোর শিশুরা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলেও বর্তমানে তা মধ্য আয়ের দেশের শিশুদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে। অর্ধেক শিশু হিডেন হাঙ্গার বা সুপ্ত ক্ষুধায় ভুগছে।
এর মানে হলো, তারা তাদের খাদ্যে শরীরের জন্য জরুরি ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৫ কোটি শিশু তাদের খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পাওয়ার কারণে দিন দিন শুকিয়ে গিয়ে হাড়জিরজিরে হয়ে পড়ছে।
চার বছরের নিচে প্রায় ১৫ কোটি শিশু তাদের বয়স অনুযায়ী শারীরিক বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। পুষ্টিজনিত কারণে তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে তাদের মস্তিস্ক ও শরীর দুটোই প্রয়োজনীয় বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে না।
ছয় মাস থেকে দুই বছর বয়সের শতকরা ৪০ ভাগ শিশুকে কোনো ফল বা শাকসবজি খাওয়ানো হয় না। ৬০ ভাগ শিশু ডিম, দুধ ও মাংস খেতে পায় না। ঠিকমতো শারীরিক বৃদ্ধি না ঘটা শিশুদের বেশিরভাগেরই বাস আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।
পাপুয়া নিউগিনি, ইরিত্রিয়ায় ৬০ ভাগ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। এই দুটি দেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বলে জানানো হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।