
মোঃ আব্দুর রহমান (পারভেজ), রাজিবপুর প্রতিনিধি: হতদরিদ্র পরিবারের গর্ভবতি ও প্রসুতি মা এবং চার বছরের নিচে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা ও মনদৈহিক বিকাশের জন্য যত্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগীতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যত্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম ধাপে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সুবিধাপ্রার্থী হতদরিদ্ররা। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা টাকা ছাড়া কারো নাম প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করছেন না। আর এই হতদরিদ্র পরিবারের নামের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বরদের বিরুদ্ধে। পরিবার প্রতি তালিকায় নাম উঠাতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে নিচ্ছে।
রাজিবপুর ও রৌমারীর বিভিন্ন এলাকাবাসী ও হতদরিদ্র পরিবারের সাথে কথা বলে এই সব অভিযোগ পাওয়া গেছে। যত্ন প্রকল্পের আওতায় রাজিবপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে সাড়ে চার হাজার ও রৌমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৮ হাজার ১০৬ জন গর্ভবতি, প্রসুতি পরিবারকে সরকারী এই অর্থ প্রদাণ করা হবে। প্রতি গর্ভবতি ও প্রসুতি মাকে মাসে এক হাজার আর শিশুকে মাসে দেড় হাজার টাকা করে প্রদাণ করা হবে।
ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান মেম্বররা তালিকা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। বাড়ী বাড়ী গিয়ে যত্ন প্রকল্পের কর্মীরা নাম ঠিকানা ও প্রকৃত হতদরিদ্র কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকা চুড়ান্ত করবেন। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ঘুষের টাকা যোগাতে অনেক পরিবারকে গবাদী পশু বিক্রয় ও সুদের উপর টাকা নিতে হয়েছে।
তালিকা তৈরিতে অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে রৌমারী সদর ইউনিয়নের তালিকা তৈরির কাজ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন নতুন ভাবে তালিকা তৈরি করেন। রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের মদন পাড়া গ্রামের গর্ভবতী হোসনেয়ারা (৩০) বলেন, ”মেম্বারের কাছে গেছিলাম নামের জন্যে ৫ হাজার টেহা চাইলো, মেলা অনুরোত কইরা ৪ হাজার টেহা দিছি”। এইভাবে আরো অভিযোগ করেন একই গ্রামের জাহানারা, সোকিনা’রা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।