
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বাঁধে আশ্রিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিধবাকে ধর্ষণ ও তার পেটের সন্তান নষ্ট করার মামলার আসামী উত্তম কুমারকে (৪৫) গ্রেফতার করতে পরেনি পুলিশ। উত্তম কুমার উপজেলার ভুতবাড়ি গ্রামের জতিন্দ্র নাথের ছেলে। সে স্থানীয় ভান্ডারবাড়ি বাজার এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসক।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েটির স্বামী প্রায় ২ বছর আগে মারা গেছে। তারপরও থেকে মেয়েটি যমুনা নদীর ভুতবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে। তার পরিবারে আর কেউ নেই। বাঁধে আশ্রিত মেয়েটি কোরআনের হফেজ। স্থানীয় শিশুদের কোরআন শিক্ষার আয় দিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ হয়।
প্রায় ৬ মাস আগে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে ভান্ডারবাড়ি বাজারে উত্তম কুমারের নিকট চিকিৎসা নিতে যায়। চিকিৎসা প্রদানকালে জন্মান্ধ মেয়েটির উপর উত্তম কুমারের কু-দৃষ্টি পড়ে। পরে চিকিৎসা দেওয়ার অজুহাতে মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করে উত্তম কুমার। অভাব অনটনের সুযোগে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর রাতে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে যৌন লালসা মিটিয়ে মেয়েটির গর্ভের ভ্রæন নষ্ট করার জন্য ঔষধ সেবন করায় উত্তম কুমার। পরের দিনে ৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটির গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ফলে মেয়েটি এ ঘটনা তার বাবার নিকট প্রকাশ করে। ধর্ষনের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে উত্তম কুমার পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মামলার একমাত্র আসামী উত্তম কুমারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।