রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা প্রতারণার ৯ মামলার আসামী বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুলতান মাহমুদ উপজেলার সদরপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ ২০১৭ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মনোনিত হন। রাজনৈতিক পদ পাওয়ার পর তিনি দখলবাজি, চাঁদাবাজি, তদবির, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। সুলতান মাহমুদ সাবেক মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক ও বিভিন্ন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে পুলিশ কনস্টেবল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে অর্ধশত বেকার যুবকের সাথে প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন।
টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় সুলতান মাহমুদ রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ধুনট শাখায় তার সঞ্চয়ী হিসাবের (নং-১৩৬) চেক দিয়েছিলেন। চাকরি দিতে না পারলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তার ওই ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা গত এক বছরে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে পৃথক ভাবে ৯টি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে ৭টি মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। বাকী ২টি মামলায় আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলে বুধবার বিকেলের দিকে ধুনট পৌর এলাকার চরধুনট গ্রাম থেকে সুলতান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রূপালী ব্যাংক ধুনট শাখা ব্যবস্থাপক শাহানুল হাসান বলেন, সুলতান মাহমুদের স্বাক্ষরিত প্রায় ৭০ লাখ টাকার প্রায় ১০টি চেক ডিজঅনার হয়েছে। আরও অনেক ব্যক্তি চেক নিয়ে ব্যাংকে এসেছিলেন। কিন্তু তার হিসাবে কোনো টাকা না থাকায় কেউ টাকা তুলতে পারেননি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় সুলতান মাহমুদকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।