
সেবা ডেস্ক: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধূলাউড়ি গ্রাম থেকে আটক তিনটি হুক্কা বা তক্ষক রাজশাহী বন বিভাগে হস্তান্তর করেছে চাটমোহর থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের এফজি লালন উদ্দিন এবং উপজেলা বন কর্মকর্তা ফরেস্টার আবদুল কুদ্দুসের কাছে তক্ষকগুলো হস্তান্তর করেন চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন।
এরআগে গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিপুর ইউপির ধূলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের কোবাদ মুসল্লির ছেলে সৈয়ব আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি কাঠের বাক্সে রক্ষিত অবস্থায় তক্ষক তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সৈয়ব।
স্থানীয়রা জানান, সৈয়ব আলী দীর্ঘদিন ধরে সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে গোপনে তক্ষক এনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করতো।
ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, তক্ষকগুলো উদ্ধারের পর শুক্রবার বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে থানায় প্রসিকিউশন মামলা করা করা হয়েছে।
পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা রাজশাহী বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে অবগত করি। এরপর শুক্রবার তাদের কাছে বন্যপ্রানী তিনটি হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের এফজি লালন উদ্দিন জানান, আমরা তক্ষক তিনটি থানা পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছি। এগুলো রাজশাহী বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হবে। এরপর প্রাণী চিকিৎসকদের মাধ্যমে পরীক্ষা করে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পাবনার বন্যপ্রাণী বিষয়ক সংগঠন নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদন শাহ মো. হামিম বলেন, উদ্ধার প্রাণীটি মূলত গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বাংলায় এটি তক্ষক বা হুক্কা নামে পরিচিত। এরা সাধারণত ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই বন্যপ্রাণী হিসেবে এটি ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পুলিশের এই কর্মকাণ্ডকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।