জুমা নামাজ নামকরণের ইতিহাস

S M Ashraful Azom
0
জুমা নামাজ নামকরণের ইতিহাস
সেবা ডেস্ক: শুক্রবারের নামাযকে আমরা জুমা নামায বলে থাকি। জুমা শব্দটি আরবি। এর আভিধানিক অর্থ হলো একত্রিত করা। এ দিবসকে ইসলাম পূর্বযুগে ‘উরুবা’ বলা হতো।
জুমা সাপ্তাহিক প্রধান দিবসের নাম, যা শুক্রবার নামে পরিচিত।

জুমা নামকরণ নিয়ে ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। এ দিন হজরত আদম (আ.) এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো একত্রিত করে পরিপূর্ণতা লাভ করার কারণে জুমা বলা হয়। কেউ কেউ বলেন, এ দিন আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পরস্পর একত্রিত হওয়ায় জুমা বলা হয়। আবার অনেকে বলেন, শহর ও গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা এদিন একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করায় এ দিনকে জুমা বলা হয়।

আরো পড়ুন>>> খাদ্যদ্রব্য মজুদ প্রসঙ্গে যা বলে ইসলাম

জুমা মুসলমানের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। গরিবদের হজের দিন। এদিন দোয়া কবুল হওয়ার দিন। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিন। ইসরাফিল (আ.) এর ফুৎকারে সব মানুষ মাটির গর্ভ থেকে উঠে হাশরের ময়দানে সমবেত হবে এই দিন। এভাবে জুমার মধ্যে একত্রিত হওয়ার অর্থটি বিদ্যমান।

কোরআনে জুমার নির্দেশ: মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা জুমার নামাজের হুকুম বা নির্দেশ দিয়ে কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হবে এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখবে, এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জানতে পারো।’ (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)।

হাদিসে জুমার ফজিলত: হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিনই হলো সবচেয়ে উত্তম দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। অত:পর এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে আবার এ দিনেই তাকে তা থেকে বের করা হয়েছে। আর কেয়ামত কায়েম হবে জুমার দিনেই।’ (মেশকাত : ১২৭৭)।

আরো বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যদি কোনো মোমিন বান্দা তাকে পায় এবং তাতে আল্লাহর কোনো কল্যাণ চায় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন।’ (মেশকাত : ১২৭৮)।

অন্যত্র বলেন, ‘কোনো মুসলমান জুমার দিনে বা জুমার রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে কবরের ফেতনা (সওয়াল, জওয়াব ও আজাব) থেকে রক্ষা করেন বা বাঁচান।’ (মেশকাত : ১২৮৭)।

জুমার নামাজ না পড়ার শাস্তি: হাদিসে জুমার নামাজ না পড়ার প্রতি রাসূল (সা.) ভীতি প্রদর্শন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমার নামাজ পড়ে না, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেন।’ (তিরমিজি : ৫০২)।

আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ব্যতিরেকে জুমার নামাজ তরক করে তার নাম এমন কিতাবে মোনাফেক হিসেবে লেখা হয়, যার লেখা মুছে ফেলা যায় না এবং তা পরিবর্তিতও হয় না।’ (মেশকাত : ১২৯৭)।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top