গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় আগামীকাল ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার হত্যার ম‚ল পরিকল্পনারকারী হিসেবে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খান ও অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান লিটনের পরিবার ও সুন্দরগঞ্জবাসী।
নিজবাড়িতে আততায়ীর গুলিতে গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহতের প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। তবে এখনও তার শ‚ন্যতায় পরিবার ও স্বজনরা। এক সময়ে নেতাকর্মীদের আনাগোনায় মুখর থাকতো লিটনের বাড়িটি। এখন তা জনশ‚ন্য। গত ২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর খুন হন লিটন। এখন ওই বাসার সেখানে দেয়ালে টানানো তার ছবি ছাড়া কিছু নেই। স্বজনদের কাছে এখন তিনি শুধুই স্মৃতি। সুন্দরগঞ্জের নেতারাও চান লিটন হত্যায় জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাক।
ন্যায় বিচারের আশা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আর পাবলিক প্রসিকিউটর বলছেন রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐই হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ প্রমাণের বিভিন্ন কাগজপত্র জাল উলে¬খ করে আশা করছেন আসামিরা খালাস পাবেন। তবে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) (জেলা ও দায়রা জজ আদালত) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, 'যেহেতু সব প্রমাণ হয়েছে এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসিই হবে।'
২০১৭ সালের ৩০শে এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৮ সালের ৮ই এপ্রিল শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রীসহ ৫৯ জন।
বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আছেন প্রধান আসামি কাদেরসহ পাঁচজন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন পালিয়ে গেছে ভারতে। চলতি বছরের ১১ই এপ্রিল হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলায় কাদের খাঁনের যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।