এখনও অধরা সরিষাবাড়ীর সাত্তার হত্যা মামলার মূল আসামি

S M Ashraful Azom
0
এখনও অধরা সরিষাবাড়ীর সাত্তার হত্যা মামলার মূল আসামি
সেবা ডেস্ক: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলাতে চলতি বছরের ১৪ জুন দুপুরে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষক আব্দুস সাত্তার হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরা পাঁচমাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। হত্যায় ঈন্ধন ও নির্দেশদাতাদের পুলিশ মামলায় এজাহারভুক্ত না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাদীপক্ষের উপর কয়েক দফা হামলা ও মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

মামলা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ জুন দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে নিরীহ কৃষক আব্দুস সাত্তারের (৫০) উপর পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৫) লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হলে আব্দুস সাত্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা (নং (২০(৬)/২০১৯) দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার ১৩ দিন পর ২৭ জুন আব্দুস সাত্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ওই মামলায় হত্যাকাণ্ডের (৩০২) ধারা সংযুক্ত করা হয়। এদিকে মামলার কয়েক আসামি জেল হাজতে গেলেও কিছুদিন পর জামিনে এসে তারা বাদীপক্ষের উপর চড়াও হয়। অপরদিকে মামলা দায়েরের সময় বাদীর মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় হত্যাকা-ের নির্দেশদাতা কয়েকজনের নাম এজাহার থেকে বাদ পড়ে যায়। এ সুযোগে তারা বাদীপক্ষের উপর কয়েক দফা হামলা, বাড়িঘরে লুটতরাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

হত্যাকাণ্ডের ঈন্ধনদাতা স্বাধীনাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সোহেল মিয়া ও সুলতান কালু, আমির মন্ডলের ছেলে বিল্লাল মিয়া, আবু বক্করের ছেলে ফরিদ মিয়া, মৃত গফুর মন্ডলের ছেলে নূরুল ইসলাম চাঁন, জিয়ার মন্ডলের ছেলে আব্দুস সামাদ ও বীর বড়বাড়িয়া গ্রামের জিয়ার মন্ডলের ছেলে শহিদুল্লাহকে মামলায় এজাহারভুক্ত করতে নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত আবেদন (স্মারক নং ১৬৪৩) করেন। ডিআইজি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিলেও কোনো কাজ না হয়নি।

অপরদিকে সোহেল, সুলতান, বিল্লাল, ফরিদ, নূরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ ও শহিদুল্লাহ সংঘবদ্ধ হয়ে গত ২৬ অক্টোবর বাদীর বাড়িঘরে হামলা ও নিহতের স্ত্রী সালমা বেওয়াকে মারধর করে। ওইদিনই তাদের বিরুদ্ধে জিডি (নং ৯৮২) করা হয়। কিন্তু এখনো তারা প্রকাশ্য এলাকায় অবস্থান করছে।

নিহতের ছেলে ও মামলার বাদি রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরা এজাহারভুক্ত না হওয়ায় বারবার তারা বাড়িঘরে হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডি ও ডিআইজি বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এতে তাদের দিনরাত আতঙ্কের মধ্যে কাটছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। জুয়েল নামের এজাহারভুক্ত একজন গ্রেপ্তার হয়নি পলাতক রয়েছে। বাদীপক্ষকে আসামিরা হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top